উত্তরবঙ্গের মালদহে ভোটের প্রচারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একদিকে যখন তিন কেন্দ্রে ভোট চলছে। সেই মুহূর্তে আগামী ভোটের প্রচারে বাংলায় নরেন্দ্র মোদী।
ইন্ডি জোট মহিলা,আদিবাসীদের জন্য় ভয়াবহ আইন আনতে চাইছে। এই আইনে মহিলাদের মঙ্গলসূত্র, আদিবাসী মহিলাদের গহনা, আর সম্পত্তির হিসাব করে বণ্টনের কথা বলছে। এই কারণে কংগ্রেসের সাহেজাদা বিদেশ থেকে এক্স-রে মেশিন নিয়ে এসেছে। এরা পুরো দেশে সকলের এক্স-রে করে দেবে। কংগ্রেস চাইছে সকলের যা সম্পত্তি তা হস্তগত করতে। আর তারপর তা নিজেদের ভোট ব্যাঙ্কে দেবে। এটা কংগ্রেস ঘোষণা করেছে। তৃণমূলও কিন্তু এর বিরুদ্ধে কোনও কথা বলল না। ওরা মৌন থেকে সমর্থন করছে। ওদের মধ্যে তুষ্টিকরণের প্রতিযোগিতা চলছে। কংগ্রেস আপনাদের সম্পত্তিতে ৫৫ শতাংশ কর বসানোর চেষ্টায় আছে। অর্থাৎ আপনার জীবন ভরের রোজগার আপনার পরবর্তীতে সন্তান পাবে না। অর্ধেক পাবে কংগ্রেস সরকার। আর তৃণমূল সরকার বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ঢোকানোর কাজ করছে। ওরা আপনাদের জমিতে কব্জা করার চেষ্টা করছে।
পিএম কৃষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পের অন্তর্গত ৫০ লক্ষের বেশি কৃষকদের অক্যাউন্টে ৮ হাজার কোটি টাকা ঢুকেছে। কিন্তু তৃণমূলকে দেখুন ওরা আপনাদের লুঠছে। আমি আপনাদের বিকাশের জন্য যে টাকা তৃণমূল সরকারকে দিই, সেই টাকা এই সরকারের নেতা,মন্ত্রী খেয়ে নেয়। এরা আমাদের আয়ুষ্মান যোজনা বন্ধ রেখেছে। এই পার্টিটা আপনাদের কথা ভাবে না। এরা চায় বাংলায় বন্দে ভারত ট্রেন শেষ হয়ে যায়। মালদহ আম আর মাখনা খুব জনপ্রিয়। তাই এখানকার কৃষকদের বেশি টাকা মিলুক আমরা চাই। সেই কারণে এখানে আমরা ফুড প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রি করব। কিন্তু তৃণমূল এর থেকেও ভাগ চায়। ওরা মা-মাটি-মানুষের কথা বলে সরকারে আসার পর সব থেকে বড় বিশ্বাসঘাতকতা মহিলাদের সঙ্গে করেছে। আর বিজেপি মুসলিম বোনদের অত্যাচার থেকে বাঁচানোর জন্য তিন তলাক বন্ধ করেছে। আর তৃণমূল এর বিরোধ করেছে। সন্দেশখালিতে মহিলাদের উপর অত্যাচার হয়েছে। আর তৃণমূল সরকার মুল অভিযুক্তদের বাঁচিয়ে রেখেছে।
আমার প্রতি আপনাদের উৎসাহ ও প্রেম দেখে আমি আপ্লুত। আপনারা এত ভালবাসা দিচ্ছেন যে মনে হয় আগের জন্মে আমি বাংলায় জন্মেছিলাম। বা পরের জন্মে আমি বাংলার কোনও মায়ের কোলে জন্ম গ্রহণ করব। এত ভালবাসা নয়ত কখনও পেতাম না। এত লোক আজ সভায় এসেছেন যে এই মাঠে কুলোচ্ছে না। লোকজন রোদের মধ্যেই দাঁড়িয়ে আছেন। আর তাঁদের উদ্দেশ্যে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। কিন্তু আপনাদের বলছি, আপনাদের এই তপস্যা আমি বেকার যেতে দেব না। আমি উন্নতি করে আপনাদের ভালবাসা ফিরিয়ে দেব।
বাংলা রামকৃষ্ণ, স্বামী বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জায়গা। আমি বাংলাকে এই ভাবে পিছিয়ে যেতে দেখতে পারব না। তৃণমূলের মতো দুষ্টু দল থাকার পরও কেন্দ্রের সরকার বাংলার বিকাশের কাজ করে চলেছে। বিজেপি সরকারের প্রকল্পের জন্য আপনারা মুক্ত রেশন পাচ্ছেন।
তৃণমূল এখানকার যুব সমাজের সঙ্গেও দুর্নীতি করেছে। শিক্ষায় দুর্নীতি করেছে। ২৬ হাজার পরিবারের জীবিকা শেষ হয়ে গেল। আর যারা ধার করে টাকা নিয়ে তৃণমূলকে দিয়েছিল তাদেরও অবস্থা এখন খারাপ। আর বিজেপি সরকার দক্ষতার সঙ্গে যুব সমাজকে চাকরি দিচ্ছে। আমাদের একাধিক প্রকল্প আছে। যেখানে যুব সমাজের উন্নতির জন্য কাজ করা হয়েছে। বিজেপি সরকারের নীতির জন্য দেশে নতুন নতুন সেক্টর তৈরি হচ্ছে। কিন্তু বাংলায় তৃণমূল যুব সমাজের উন্নতির সব রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে।
একটা সময় ছিল বাংলা পুরো দেশের উন্নতিতে নেতৃত্ব দিত। সামাজিক, বৈজ্ঞানিক, প্রযুক্তি, দেশের বলিদানেও বাংলা নেতৃত্ব দিত। কিন্তু বাম-তৃণমূল তাদের শাসনকালে বাংলার সম্মান নষ্ট করেছে। উন্নতি বন্ধ করেছে। তৃণমূলের শাসনকালে একের পর এক প্রতারণা কাণ্ড, পাচার, দুর্নীতির কথা সামনে আসছে। দুর্নীতি তৃণমূল করে আর ভোগে বাংলা। একটাও কাজ এখানে কমিশন ছাড়া হয় না। এরা কৃষকদেরও ছাড়েনি। মান্ডিতে এক কুইন্টাল গম বেচতে গেলে বিচুলি খেয়ে নেয়।
তৃণমূল-কংগ্রেসের মতো দল আজ শেষ হয়ে যাবে। মালদহে সব জায়গায় বলছেন সকলে আরও একবার মোদী সরকার।
‘হেলিপ্যাড থেকে দেখলাম আমায় সকলে আশীর্বাদ করছেন। আজ দেশে যেখানে যেখানে নির্বাচন হচ্ছে তাঁদের সকলকে বলছি ভোট দিন। তাই দেশের জন্য ভোট দিতে যান। আপনারা আজ আশীর্বাদ করছেন।’