কমিশন ভার্সেস কমিশন
(নিজস্ব চিত্র)
ফের কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত! এবার সরাসরি সংঘাতে জাতীয় ও রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন। মালদার গাজোলে পরিদর্শন ঘিরে দুই কমিশনের মধ্যে বাদানুবাদ তুঙ্গে। জাতীয় সুরক্ষা কমিশনের অভিযোগ, এলাকা পরিদর্শনে তাদের বাধা দেয় রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের আধিকারিকরা। সেই জল গড়ায় দুই রাজনৈতিক দল তৃণমূল-বিজেপির হাতাহাতিতে। যার জেরে রীতিমত বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয় এলাকায়।
- যদিও জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের অভিযোগ মানতে নারাজ রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন। চেয়ারপার্সন সুদেষ্ণা রায় বলেন, “আমি হয়ত আসিনি। আমি যোগাযোগ রেখে গিয়েছিলাম। এখানে অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়েছে, মেয়েটিকে স্কুলে ভর্তির ব্যবস্থা করা হচ্ছে, ওর কাউন্সিলিং চলছে। আমরা জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনকে সাহায্য করতে এসেছি। কিন্তু ওরা সেই সহযোগিতা নিতে চান না। ওদের মতে আমাদের কিছু লুকানোর রয়েছে। কিন্তু তেমনটা নয়।”
- কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলে আসেন স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। এরপর শুরু হয় বিজেপি-তৃণমূল বিক্ষোভ
- এ দিকে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ চলাকালীন এলাকায় উপস্থিত হন স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক চিন্ময় দেব বর্মণ। তাঁরাও রাজ্যের আধিকারিকদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।
- এ দিন গ্রামবাসী বলেন, “ঘটনা ঘটে যাওয়ার পনেরো দিন পর রাজ্য সরকারের ঘুম ভেঙেছে। আজ যখন কেন্দ্রীয় টিম এসেছে তখন রাজ্য সুরক্ষা কমিশন ঘুম ভেঙে এখানে এসেছে।”
- এই পরিস্থিতিতে নির্যাতিতার বাড়ির সামনে গ্রামবাসীরা রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের আধিকারিকদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।
- শুরু হয় দু’পক্ষের বাদানুনাদ। শেষে ওই এলাকা ছেড়ে কেন্দ্রীয় দল স্কুল পরিদর্শনে পৌঁছয়।
- কেন্দ্রীয় দলের অভিযোগ, তাদের পরিদর্শনে বাধা দেন রাজ্য সুরক্ষা কমিশনের আধিকারিকরা।
- তড়িঘড়ি এলাকায় পৌঁছয় রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের আধিকারিকরাও।
- আজ সকালে গাজোলে পৌঁছয় জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রিয়ঙ্ক কানুনগো এবং তাঁর দল।