মালদহ: প্রসব যন্ত্রণা শুরু হওয়ার পর সোমবার রাত ১২ টা নাগাদ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল টুলি খাতুনকে। ২৮ বছরের যুবতী সুস্থ সন্তানের জন্ম দেন হাসপাতালে। আত্মীয়দের দাবি, সন্তানের জন্মের পর তাঁর মুখ দেখেছিলেন মা, তখনও পর্যন্ত সব ঠিক ছিল। তারপর আচমকাই অজ্ঞান হয়ে গেলেন তিনি। চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো জোগান দেওয়া হল রক্তের। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। হাসপাতালেই মৃত্যু হল টুলির। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল মালদহ মেডিক্যাল কলেজ।
ঘটনায় ভুল চিকিৎসা ও চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে পরিবার। মৃত্যুর খবর আসার পর থেকেই হাসপাতালে শুরু হয় ভাঙচুর। ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। অভিযোগ, দেহ ফেলে রেখে চিকিৎসার নাটক করা হয়েছে, মৃত্যুর পরও জানানো হয়নি পরিবারকে।
টুলি খাতুনের বাড়ি মালদহের পাকুয়াহাটের সালালপুরে। মঙ্গলবার তিনি এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। এরপর আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়ায় পরিবারকে রক্ত দেওয়ার কথা জানানো হয়। মৃতার এক আত্মীয়া জানান, হাসপাতালের চাহিদা মতো রক্তের জোগান দেওয়া হয়। এরপর বিকেল ৫ টা নাগাদ মৃত্যুর খবর জানানো হয় পরিবারকে। কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছে পরিবার।