মালদহ: পিটিয়ে ঘর থেকে মা’কে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে। খোলা আকাশের নীচে গাছতলায় ঝড়-জলের মধ্যেই দিন কাটাচ্ছেন প্রৌঢ়া। দয়া করে কেউ খেতে দিলে জুটছে খাওয়া। অভিযোগ, এতটাই মারধর করা হয়েছিল যে প্রথমে আহত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের চেষ্টায় সুস্থ হয়ে ওঠেন। এলাকার বাসিন্দাদের সাহায্য নিয়ে ছেলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই বৃদ্ধা। তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন এলাকার কাউন্সিলরের কাছেও। মালদহের ইংরেজবাজার পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কুলদীপ মিশ্র কলোনির।
এখনও পর্যন্ত গাছের নীচেই রয়েছেন প্রৌঢ়া। গঙ্গা হরিজন নামের ওই মহিলার অভিযোগ, দিনের পর দিন তাঁর ওপর অত্যাচার চালাতেন তাঁর পুত্র মোহন হরিজন। তাঁর হাত ভেঙেছে, মাথাও ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। কেড়ে নেওয়া হয়েছে সোনার গয়না। এমনকী বাড়ির দলিল হাতাতে চাইছে বলেও ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
প্রৌঢ়ার আরও এক সন্তান রয়েছেন, কিন্তু তিনি অন্যত্র থাকেন। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, নিয়মিত মারধর করেন ছেলে। বাড়ির দখল নিয়েছে মাকে তাড়িয়ে দিয়েছে ছেলে। স্থানীয় বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ, বাধা দিতে গেলে তাঁদেরকেও হুমকি দেওয়া হয়। এর পিছনে কোনও প্রভাবশালীর মদত আছে বলেও দাবি করছেন কেউ কেউ।
প্রৌঢ়ার বাড়িতে গেলে ছেলে মোহনকে ঘরে পাওয়া যায়নি। তাঁকে ফোন করা হলে তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূল কাউন্সিলর সুজিত সাহা জানান, এই বিষয়ে তিনি ব্যবস্থা নেবেন, পুলিশের সঙ্গেও কথা বলবেন।