মালদা: স্কুলের সামনেই শিক্ষিকাকে মেরে হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল স্থানীয় এক যুবকের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবারের সেই ঘটনায় শিউরে উঠেছিল মালদার হবিবপুর। গাছের মোটা ডাল দিয়ে শিক্ষিকাকে মারধরের অভিযোগ ছিল ওই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। হাত ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছে শিক্ষিকার। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন মালদার এক বেসরকারি হাসপাতালে। সেই ঘটনার পর গতরাতেই অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু তখনও তেজ কমেনি যুবকের। হবিবপুর থানার পুলিশ যখন যুবককে ধরতে যায়, তখনও রড, হাতুড়ি ইত্যাদি দিয়ে পুলিশের উপর হামলার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। কোনওক্রমে অভিযুক্তকে পাকড়াও করে পুলিশ।
জানা যাচ্ছে, অভিযুক্ত ওই যুবকের বিরুদ্ধে এর আগেও থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন শিক্ষিকার পরিবারের লোকেরা। অভিযোগ ছিল, শিক্ষিকা স্কুলে যাতায়াতের পথে বার বার তাঁকে অনুসরণ করত অভিযুক্ত। শিক্ষিকাকে বিরক্ত করত বলেও অভিযোগ। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে, আগেও একবার পুলিশ ধরেছিল অভিযুক্তকে। জেলেও ছিল বেশ কিছুদিন। এদিকে ওই যুবকের উৎপীড়নে অতিষ্ঠ হয়ে শিক্ষিকা স্কুলে যাতায়াতের পথও বদলে ফেলেছিলেন। অন্য রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতেন।
এসবের মধ্যেই গতকাল স্কুলের কাছেই শিক্ষিকার পথ আগলে দাঁড়ায় অভিযুক্ত যুবক। তাঁর সামনে জুতো ছুড়ে ফেলে। অভিযোগ, এরপর শিক্ষিকাকে বলে জুতো পরিয়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু, তাতে রাজি না হওয়াতেই শিক্ষিকাকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ছুটে আসেন স্কুলের রাঁধুনি ও অন্যান্য কর্মীরা। শিক্ষিকাকে উদ্ধার করে প্রথমে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে মালদা মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তর করা হয়। পরিবারের লোকেরা আপাতত শিক্ষিকাকে মালদার এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছেন এবং সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই শিক্ষিকা।