AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Malda: সবুজ সাথীর সাইকেলের জন্য পডুয়াদের থেকে টাকা নিচ্ছে স্কুল, বুক ফুলিয়ে স্বীকারও করলেন প্রধান শিক্ষক

Sabooj Sathi Cut money: সবুজ সাথীর সাইকেল দেওয়ার জন্য পড়ুয়াদের কাছ থেকে যে টাকা নেওয়া হচ্ছে তা স্বীকার করলেন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মুসলিম উদ্দিন আহমেদ। তবে টাকা নেওয়ার কারণও জানালেন। বললেন, "এই প্রথম নয়। প্রায় প্রত্যেক বছর টাকা নেওয়া হয়।"

Malda: সবুজ সাথীর সাইকেলের জন্য পডুয়াদের থেকে টাকা নিচ্ছে স্কুল, বুক ফুলিয়ে স্বীকারও করলেন প্রধান শিক্ষক
কী বলছে পড়ুয়ারা?Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Nov 25, 2025 | 9:30 PM
Share

মালদহ: বিনামূল্যে স্কুলের পড়ুয়াদের সবুজ সাথীর সাইকেল দেওয়ার কথা। রাজ্য সরকারের নিয়ম অন্তত তাই বলছে। কিন্তু, সেই সবুজ সাথীর সাইকেলের জন্যও কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠল স্কুলের বিরুদ্ধে। সবুজ সাথীর সাইকেল নিতে ৫০ টাকা করে দিতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। এই নিয়ে সরব হল পড়ুয়ারা। বুক ফুলিয়ে পড়ুয়াদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক। ঘটনাটি মালদহের।  

চাঁচল ১ ব্লকের থাহাঘাটি হাই মাদ্রাসা। অভিযোগ, প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে জোর করে ছাত্র ছাত্রীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হচ্ছে সাইকেল পিছু। এমনকি প্রতিবাদ করতে গেলে পড়ুয়াদের নাকি ধমক খেতে হচ্ছে। এই নিয়ে সরব হয়েছে পড়ুয়ারা। স্কুলে বিক্ষোভ দেখাল তারা। কেন সাইকেলের জন্য টাকা নেওয়া হবে, সেই প্রশ্ন তুলল। তাদের বক্তব্য, সরকারি সাইকেল পেতে কোনও টাকা দেবে না তারা।

পড়ুয়াদের অভিযোগ নিয়ে কী বললেন প্রধান শিক্ষক?

সবুজ সাথীর সাইকেল দেওয়ার জন্য পড়ুয়াদের কাছ থেকে যে টাকা নেওয়া হচ্ছে তা স্বীকার করলেন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মুসলিম উদ্দিন আহমেদ। তবে টাকা নেওয়ার কারণও জানালেন। বললেন, “এই প্রথম নয়। প্রায় প্রত্যেক বছর টাকা নেওয়া হয়। বিশেষ করে ২০২২ সালের পর থেকে। আমাদের একসঙ্গে ২০-২৫ জন সহকর্মী ট্রান্সফার হয়ে চলে গিয়েছেন। ক্লার্কও নেই। কম্পিউটার জানা লোক নেওয়া হয়েছে। প্যারা টিচাররা রাত জেগেও কাজ করেন। তাঁদের দেওয়ার জন্য টাকা নেওয়া হয়। কেউ যদি টাকা দিতে না চায় দেবে না।” তবে কোনও পড়ুয়ার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয় না বলে তিনি দাবি করেন। সাইকেলের জন্য টাকা নেওয়া তো অনুচিত? প্রশ্ন শুনে প্রধান শিক্ষকের যুক্তি, “বাস্তব ও সরকারি নিয়মে অনেক তফাত রয়েছে। বাস্তব অনেক কঠিন জিনিস।”

এই নিয়ে সরব হয়েছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির দক্ষিণ মালদহ সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায় বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষকে শোষণ করা তৃণমূলের কাজ। ফলে স্কুলে এই কাটমানি নেওয়া ব্যতিক্রম নয়। তবে পড়ুয়াদের কাছ থেকে সবুজ সাথীর জন্য টাকা নেওয়া হলে ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে বিজেপি।”

ঘটনাটি সামনে আসতেই মালদহ জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র আশিস কুন্ডু বলেন, “যদি সবুজ সাথীর সাইকেলের জন্য স্কুল টাকা নেয়, সেটা অন্যায় হচ্ছে। এটা বাঞ্ছনীয় নয়। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও অভিভাবক ও ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” বিজেপির অভিযোগকে অবশ্য গুরুত্ব দিতে চাইলেন না তিনি।