মালদা: বিগত কয়েকদিন ধরেই নিম্নচাপের প্রভাবে সাগর থেকে দক্ষিণা বাতাস সরাসরি পাহাড়ে পৌঁছে বৃষ্টি নামানোর অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি করছিল। যার জেরে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির সতর্কতা জারি ছিল। এ দিকে, বৃষ্টি হওয়ায় জল বেড়ে যায় গঙ্গায়। তীব্র ভাঙনের জেরে তাঁবু সহ ঘুমন্ত অবস্থায় তলিয়ে যায় দুই বিএসএফ জওয়ান। তবে কোনওরকমে প্রাণে বেঁচে যান তাঁরা।
সূত্রের খবর, হঠাৎ করে তীব্র ভাঙন দেখা যায় গঙ্গায়। সেই সময় তাঁবু সহ ঘুমন্ত অবস্থায় তলিয়ে যায় ওই দুই বিএসএফ জওয়ান। গ্রামের লোকেদের সাহায্যে কোনওক্রমে তাঁদের তোলা হয়।
অপরদিকে, নদী ভাঙনের জেরে বিপন্ন প্রাচীন রাধাগোবিন্দ মন্দির। যে কোনও মুহূর্তে বিশাল মন্দির তলিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয় বাসিন্দাদের। ইতিমধ্যেই সিঁড়ি ভেঙে নদী গা ছুঁয়ে রয়েছে। মন্দিরে প্রবেশের উপায় নেই। ফলত মালদার কালিয়াচক ৩ ব্লকের পারলার পুর গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। অন্যদিকে আবার তীব্র ভাঙন মালদার মানিকচকের গোপালপুরে। চোখের নিমেষে তলিয়ে যায় ২০০ মিটারের বেশি জমি।আতঙ্ক সেখানেও।
এ দিকে, উত্তরবঙ্গ থেকে একের পর এক বিপর্যয়ের খবর প্রকাশ্যে এসেছে। লাগাতার বৃষ্টির জেরে মাল নদীতে হড়পা বান আসে। আর তার জেরেই ঘটে বিপত্তি। প্রতিমা নিরঞ্জন করতে গিয়ে আট জনের মৃত্যুর খবর প্রাথমিক ভাবে জানতে পারা গিয়েছে।নিখোঁজ অনেকে। রাতভর চলে উদ্ধারকার্য। সূত্রের খবর, সে সময় ঘাটে ছিলেন হাজার খানেক মানুষ। এত ভিড় সামাল দিতে কেন উদাসীন ছিল প্রশাসন, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহর অবশ্য বক্তব্য, ‘এটা একটা দুর্ঘটনা। হাঁটু সমান জল পাঁচ মিনিটে বেড়ে গিয়েছে। ওখানকার আবহাওয়া দেখেও বোঝা যায়নি। বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল, কিন্তু আকাশে মেঘ ছিল না। পুরো ব্যাপারটাই হয়েছে পাহাড়ে। সেখান থেকে জল নেমে এসেছে। হঠাৎ করে হয়েছে। হড়পা বান এমন একটা বান, যেটা হলে বোঝা যায়, আগে বোঝা যায়নি। যার যা কর্তব্য ছিল, সেটা পালন করা উচিত ছিল।’