Malda Protest: ২০ থেকে ২৫ লক্ষ টাকায় শিক্ষক নিয়োগ! অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ মাদ্রাসার চাকরি প্রার্থীদের

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Jul 26, 2022 | 5:14 PM

Malda: মালদার হরিশচন্দ্রপুরের ওই স্কুলে বসেছে পুলিশ পিকেট। শুধু শিক্ষক নিয়োগ নয়, বিক্ষোভকারীদের দাবি কাটমানির বিনিময়ে বিবাহিত মহিলাদেরও কন্যাশ্রী পাইয়ে দেওয়া হয়েছে।

Malda Protest: ২০ থেকে ২৫ লক্ষ টাকায় শিক্ষক নিয়োগ! অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ মাদ্রাসার চাকরি প্রার্থীদের
মালদায় বিক্ষোভ

Follow Us

মালদা: টাকার বিনিময়ে শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ। পনেরো থেকে পঁচিশ লক্ষ টাকার বিনিময়ে শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে হরিশ্চন্দ্রপুরের মিলনগড় সাজ্জাদিয়া হাই মাদ্রাসায়। ইতিমধ্যেই গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন। তাঁদের বিক্ষোভে সামিল হয়েছে খোদ তৃণমূল পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ।

মালদার হরিশচন্দ্রপুরের ওই স্কুলে বসেছে পুলিশ পিকেট। শুধু শিক্ষক নিয়োগ নয়, বিক্ষোভকারীদের দাবি কাটমানির বিনিময়ে বিবাহিত মহিলাদেরও কন্যাশ্রী পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে মিড-ডে মিল নিয়েও। বিক্ষোভে সামিল থেকে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন হরিশ্চন্দ্রপুর ২ পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ মণিরুল আলমও।

এই ঘটনাকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপিও। গত কয়েক মাসে ওই মাদ্রাসায় ৬ জন শিক্ষককে নিয়োগ করা হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, শুধু ওই ৬ জন নন। এলাকায় অন্তত ২০ জনের কাছ থেকে ১৫ থেকে ২৫ লক্ষ করে টাকা নেওয়া হয়েছে। তাঁরা মাদ্রাসায় শিক্ষকতার কাজে অরগানাইজ করেছেন তথা কাজ করেছেন দেখিয়ে তাঁদের নিয়োগ করা হয়েছে। যদিও, তাঁদের ওই স্কুলে কাজের কোনও অভিজ্ঞতা বা প্রামাণ্য নথিপত্রও নেই বলে দাবি গ্রামবাসীদের।

এ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা একাধিকবার মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের কাছে নথি চাইলেও তা দেওয়া হচ্ছে না। এছাড়া গত ছয় বছর ধরে সেখানে নির্বাচন হয়নি। ফলে ওই স্কুলের পরিচালক কমিটিও অবৈধ বলেও বিক্ষোভকারীদের দাবি। তাহলে সেই নিয়োগ হয় কী করে? প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।

স্থানীয় বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ, ক্লাস টুয়েলভ পর্যন্ত থাকা ওই হাইমাদ্রাসায় পড়ুয়ার সংখ্যায় প্রায় ১হাজার ৮০০। সরকারি বিধি না মেনে তাঁদের কাছে থেকে বাড়তি ফি আদায় করা হচ্ছে। যার কোনও হিসেব নেই। মিড-ডে মিলের টাকাও নয়ছয় করা হচ্ছে। কমিটির সম্পাদক ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক যোগসাজসে এই সব দুর্নিতি করছেন বলে অভিযোগ। তবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বা পরিচালন কমিটির সম্পাদক দু’জনেই যাবতীয় অভিযোগ মিথ্যে ও ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করেছেন। আদালতের নির্দেশে নাকি শিক্ষকরা যোগ দিয়েছেন বলে তাঁদের দাবি। যদিও সেই বিষয়ে স্পষ্ট কোনও ব্যাখ্যা বা নথিপত্র তাঁরা তুলে ধরতে পারেননি।

এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘পুরনো কমিটি কিছু ভুতুড়ে শিক্ষক নিয়োগ করেছে। স্কুলে ছয় বছর আগে ভোট হয়েছে। তারপর আর কোনও ভোট হয়নি। অবৈধ ভাবে কমিটি পথে আগলে রেখেছে। সেই কারণে বিক্ষোভ দেখাচ্ছি।’

Next Article