মালদা: দলবল নিয়ে সরকারি জমি দখলের চেষ্টা তৃণমূল কর্মীর। স্থানীয় তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে সেই সরকারি জমির দখল নেওয়ার জন্যে পাঁচ লক্ষ টাকা চাওয়ারও অভিযোগ সেই তৃণমূল কর্মীর। সরকারি জমি দখলে বাধা দিতে গেলে এক আদিবাসী নেতা তথা স্থানীয় বিজেপি কর্মীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি। সেই হুমকির ভিডিয়ো ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে। উত্তেজনা মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের গড়গড়ি এলাকায়।
গড়গড়ি এলাকায় প্রায় তিন বিঘার উপরে সরকারি খাস জমি রয়েছে। বিশাল খোলা মাঠ। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এই জমির ওপর দীর্ঘদিন ধরেই জমি মাফিয়ারা নজর দিয়ে বসে আছে। এর আগেও আদিবাসীদের সঙ্গে জমি মাফিয়াদের গন্ডগোল সামনে এসেছিল। এবার সেই জমির বড় অংশ দখলের অভিযোগ উঠল এককালের বাম কর্মী, বর্তমানে প্রভাবশালী তৃণমূল কর্মী খোকা ওরাওঁয়ের বিরুদ্ধে। তিনি লোকজন নিয়ে মাঠ দখল করতে চলে যান। শুধু তাই নয়, তাঁর দাবি, এই জমি দখল নেওয়ার জন্যে তৃণমূল নেতা তথা হরিশ্চন্দ্রপুর পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন ভূমি কর্মাধ্যক্ষ আদিত্য মিশ্র পাঁচ লক্ষ টাকাও চেয়েছেন। যদিও সেই টাকা তিনি দেননি। এদিকে এই সরকারি জমি দখলে বাধা দিতে যান স্থানীয় বিজেপি কর্মী তথা পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্যর স্বামী হরতাল ওরাওঁ। বাধা দেন আদিবাসী ইউনিটের বহু সদস্যও। বিষয়টি নিয়ে তাঁরা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে অভিযোগ জানান। এরপরেই গন্ডগোল চরমে ওঠে। বেপরোয়া ভাবে খোকা ওরাওঁ জমি দখল করতে চলে যান লোকজন নিয়ে। বাধা দিতে গেলে হুমকি দেন। অভিযোগ কেন করা হল এই প্রশ্ন তুলে বিজেপি কর্মী তথা হরিশ্চন্দ্রপুর আদিবাসী ইউনিটের সভাপতি হরতাল ওরাওঁকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেন। প্রকাশ্যে মারার হুমকি দেন। আর সেই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে জমি দখলের জন্যে হুমকি দিতে দেখা যাচ্ছে। যদিও ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি টিভি৯ বাংলা।
ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে গড়গড়ি এলাকায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। তদন্ত শুরু করেছে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর। অন্যদিকে তৃণমূলের অন্দরেই এই বিষয় নিয়ে তীব্র অশান্তি শুরু হয়েছে। তৃণমূল নেতা আদিত্য মিশ্র অভিযোগ করেন, তৃণমূল কর্মী হলেও খোকা ওরাওঁ প্রভাবশালী, জমি মাফিয়া। সরকারি জমি কেনা বেচা করেন। তৃণমূলেরই নেতাদের একাংশ তাঁর সঙ্গে রয়েছেন। অন্যদিকে তৃণমূল কর্মী খোকা ওরাওঁ দাবি করেন, তৃণমূল নেতা আদিত্য মিশ্র এবং বিজেপি কর্মী হরিদাস মিলে তাঁর কাছে ওই সরকারি জমির দখল পাইয়ে দেওয়ার জন্যে পাঁচ লক্ষ টাকা চেয়েছিলেন। সেই টাকা না দেওয়ার জন্যেই বিরোধিতা করছেন।