Malda Medical College: মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন-ওষুধ দিয়েই চলল চিকিৎসা, গুরুতর অভিযোগ সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Aug 09, 2022 | 6:33 PM

Malda: তাহেরুন্নেসা বেগম (৭০)। মালাদার গ্রামীণ হাসপাতেলে ভর্তি। জানা গিয়েছে, সেখানে হাসপাতালে কর্তব্যরত এক কর্মী চিকিৎসকের পরামর্শে বৃদ্ধাকে স্যালাইন ও অক্সিজেন দেন।

Malda Medical College: মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন-ওষুধ দিয়েই চলল চিকিৎসা, গুরুতর অভিযোগ সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে
মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে দু'বছর আগেই

Follow Us

মালদা: ওষুধ থেকে স্যালাইন। উত্তীর্ণ হয়েছে মেয়াদ। সেই মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধই দেওয়া হচ্ছে সরকারি হাসপাতালে। আর এই অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্তের নির্দেশ মালদায়।

তাহেরুন্নেসা বেগম (৭০)। মালাদার গ্রামীণ হাসপাতেলে ভর্তি। জানা গিয়েছে, সেখানে হাসপাতালে কর্তব্যরত এক কর্মী চিকিৎসকের পরামর্শে বৃদ্ধাকে স্যালাইন ও অক্সিজেন দেন। তবে দেখা যায় বেশ কিছুক্ষণ পর বৃদ্ধার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। সেই সময় পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ হলে দেখেন মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন দেওয়া হয়েছে বৃদ্ধা মহিলাকে।

এই ঘটনা তড়িঘড়ি জানানো হয় মানিকচকের ব্লক স্বাস্থ্য অধিকারী অভিক শঙ্কর কুমারকে। তিনি বৃদ্ধার শারীরিক অবস্থা যাচাই করে তাঁকে তড়িঘড়ি স্থানান্তর করেন মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। বর্তমানে সেই বৃদ্ধা চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন মালদা মেডিক্যালে। ইতিমধ্যে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মানিকচকের বিএমওএইচকে সেই কর্মীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। উপযুক্ত ব্যবস্থা যেন নেওয়া হয় সেই দাবি জানানো হয়েছে পরিবারের পক্ষ থেকে। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক।

গ্রামবাসী শ্যামল বসাক বলেন, ‘গোটা রাজ্যের স্বাস্থ্যের কী অবস্থা তা আমরা বুঝতে পারলাম। স্বাস্থ্যকর্মীর নামে যাঁদের নেওয়া হয়েছে তাঁরা আদৌ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কি না জানি না। এক প্রৌঢ়া বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ভর্তির পর মহিলাকে স্যালাইন দেওয়া হয়। দুটো স্যালাইনের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে। ডাক্তার ডেট দেখছেন না? আমরা এর প্রতিবাদ করেছি। প্রতিবাদের পরে আমরা লিখিত ভাবে অভিযোগ জানিয়েছি। বিএমওএইচকে মৌখিক ভাবে জানাই। তারপরই মালদা মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। ওই হাসপাতালে চিকিৎসক নেই। গ্রুপ-ডি স্টাফ নিয়ে কোনও রকমভাবে চালানো হচ্ছে।’ অপরদিকে, মানিকচক হাসপাতালের বিএমওএইচ শংকর কুমার বলেন, ‘আমায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। আমি তদন্ত করতে বলেছি। গোটা ঘটনা শোনার পর আমি সঙ্গে-সঙ্গে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করতে বলেছি।’

Next Article