মালদা: হাতে আর মাত্র ২৪ ঘণ্টার কম সময়। তারপরই শুরু হতে চলেছে ভোট গ্রহণ। এদিকে নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) নিয়ম বলছে ৬ জুলাই ছিল ভোট (Panchayat Election 2023) প্রচারের শেষ দিন। বৃহস্পতিবার শেষ মুহূর্তের প্রচারে ঝাঁপাতে দেখা গিয়েছে শাসক-বিরোধী সব রাজনৈতিক দলকে। কিন্তু, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে জোরকদমে ভোট প্রচার চলল মালদায়। রাজ্য সরাকারের একাধিক প্রকল্পের নাম লেখা পোস্টার টোটোতে লাগিয়ে মাইক লাগিয়ে চলল প্রচার। যা নিয়ে জোর শোরগোল রতুয়া-২ ব্লকের পীরগঞ্জ অঞ্চলের সাতমারা গ্রামে।
এই গ্রামেই এদিন ট্যাবলোতে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের খতিয়ান তুলে ধরে, পোস্টার লাগিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে চলে প্রচার। যা নিয়ে চাপানউতর শুরু হয়ে গিয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। কী করে কোনও রাজনৈতিক দল নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা উপেক্ষা করে এই কাজ করতে পারে সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এমনকী সাতমারা গ্রামের বাসিন্দারাই ওই ট্যাবলো থামিয়ে দেন। খবর দেন পুখুরিয়া থানায়। খবর যায় রতুয়া-২ ব্লকের বিডিও অর্থাৎ রিটার্নিং অফিসার নিশীথ কুমার মাহাতোর কাছেও।
খবর পেয়ে এলাকায় আসে পুলিশ। ট্য়াবলো-সহ দু’জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও এ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তৃণমূলের রতুয়া ২ ব্লক সভাপতি রাকিবুল ইসলাম বলেন, “গতকাল ভোট প্রচার চলছিল ওই ট্যাবলোটি নিয়েই। সেটা গ্রামেই ছিল। সাউন্ড সিস্টেমও লাগানো ছিল। যার কাছ থেকে সাউন্ড সিস্টেম ভাড়া নেওয়া হয়েছিল তাঁর দোকানে আজ ট্যাবলোটিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। কিন্তু, সাউন্ড সিস্টেম বাজিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল কিনা আমার জানা নেই।” পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি অজয় গাঙ্গুলি। তিনি মতে, এটাই তৃণমূলের কালচার। পুলিশ প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন, শাসকদল সব এক হয়ে গিয়েছে। তাই নির্দেশিকা মানার ওরা কোনও প্রয়োজন মনে করছে না।