মালদহ: এবার দুর্নীতি নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করলেন রাজ্যের জলপথ ও সেচ দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। মালদহে এক সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শনিবার সাবিনা ইয়াসমিন মন্তব্য করেন, জেলায় পঞ্চায়েত স্তরে যে টাকা নিয়ে পদ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে, তার শিক্ষা দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। সাবিনা ইয়াসমিনের বক্তব্য, “মুর্শিদাবাদ, মালদহের পর্যবেক্ষক ছিলেন শুভেন্দু। মালদহে আমাদের নেতৃত্বকে যদি কেউ ভুল বুঝিয়ে থাকেন সেটা শুভেন্দু অধিকারী। উনি চুরি করতে শিখিয়েছেন। আজ বিজেপিতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী সাধু, আমরা সকলে চোর, এটা ভাবার কোনও কারণ নেই।” একইসঙ্গে জেলায় বিভিন্ন দফতরে নিয়োগের ক্ষেত্রেও চাঞ্চল্যকর দাবি করেন সাবিনা ইয়াসমিন।
এদিন সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, “আমাদের দলের কেউ দুর্নীতিতে জড়িয়ে থাকলে তাঁর শাস্তি চাইছি। কিন্তু পাশাপাশি চাই, বিজেপির যেসব নেতারা তৃণমূলে থেকে দলের বদনাম করে বিজেপিতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধেও যেন সিবিআই তদন্ত, ইডি তদন্ত হয়।” মালদহের বিভিন্ন পঞ্চায়েতে দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে, সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, “আমরা কখনওই চাই না পঞ্চায়েতে দুর্নীতি হোক। তবে যে দলই পঞ্চায়েত গড়ুক, ১০০ শতাংশ সদস্য স্বচ্ছ এটাও বলা যায় না। গত পঞ্চায়েতে যেভাবে বোর্ড গঠন হয়, তাতে দুর্নীতি ছিল। যাঁদের আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়েছি, তারা বলেছে, ‘এত টাকা দিয়ে প্রধান হয়েছি। শুভেন্দু অধিকারীকে টাকা দিয়েছি। এত টাকা দিয়ে উপরমহলে পাঠাতে হয়েছে। এই টাকা আমরা তুলব কী করে?’। আমরা আশা করছি ২০২৩-এ বদল আনতে পারব। মালদহ, মুর্শিদাবাদে শুভেন্দু অধিকারী দুর্নীতির চোরা স্রোত তৈরি করেছেন, তা ভাঙবই।”
এদিন মঞ্চ থেকে সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, “বিচার ব্যবস্থার প্রতি আমাদের আস্থা আছে। কিন্তু ইডি, সিবিআইয়ের মতো এজেন্সির প্রতি আমাদের ভরসা নেই। আজ যদি নিরপেক্ষ তদন্ত করতে হয়, তা হলে তৃণমূলের ঘরে কেন, আমি তো মনে করি মালদহে যদি দুর্নীতির বাসা কেউ তৈরি করে থাকেন, তা হলে তিনি শুভেন্দু অধিকারী। কেন তাঁর বাড়িতে সিবিআই যাবে না। মালদহে পঞ্চায়েত থেকে দুর্নীতি করতে যিনি শিখিয়ে দিয়ে গেছেন, তিনি তো শুভেন্দু অধিকারী। আজ মেদিনীপুরের লোক মালদহে চাকরি করত, পরের বছর দেখতাম বদলি করে নিয়ে চলে গেল মেদিনীপুরে।”
বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি অসীম মিশ্র বলেন, “তৃণমূলের দেউলিয়াপনা প্রকট হয়ে উঠেছে। চারদিকে চোর চোর রব উঠছে, ইডি সিবিআই চোর ধরছে, তখন স্বাভাবিকভাবে একটা কিছু ইস্যু তো তৈরি করতে হবে। যার কোনও গুরুত্ব নেই। এইসব কথা তো আগে বলতে পারতেন। এখন বলছেন? এসব করে বিজেপিকে বদনামের চেষ্টা। লাভ হবে না।” অন্যদিকে মালদহ জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি তথা বর্তমান বিজেপি নেতা গৌরচন্দ্র মণ্ডল বলেন, “যে কোনও কেউ যা কিছু দাবি করতেই পারেন। এখন চোরের মায়ের গলার জোর বেশি। তদন্ত করলে কার কার নাম যে উঠে আসবে তার কোনও হিসাব নেই।”
আরও পড়ুন: 19,867.8 MHz স্পেকট্রাম অধিগ্রহণ করে ভারতীয়দের জন্য 5G বিপ্লব ঘটাতে চলেছে এয়ারটেল