মালদহ: তৃণমূলের সদস্য হয়েও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে অভিযোগ তুলে ইস্তফা দিলেন প্রধান-সহ ১২ জন পঞ্চায়েত সদস্য। ব্লক উন্নয়ন আধিকারিকের (BDO) কাছে পদত্যাগের চিঠি জমা দিলেন বামনগোলা ব্লকের মদনাবতী গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান রানু বিশ্বাস রায়-সহ ১২ জন সদস্য। যুব তৃণমূলের ব্যানার দিয়ে এলাকা সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন প্রধান। এমনকী পঞ্চায়েতের দুই সদস্যকে মারধরও করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও স্থানীয় যুব নেতৃত্বও জানিয়েছে, এখানে তাদের কোনও ভূমিকাই নেই। এক যুবনেতার কথায়, পারিবারিক বিবাদের জেরে গোলমাল হয়েছে। অকারণে তাঁদের নাম জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে সেখানে। বিরোধীদের দাবি, পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিভিন্ন জায়গায় গোষ্ঠীকোন্দলে জড়িয়ে পড়ছে শাসকদল। মদনাবতীর ঘটনা তার ব্যতীক্রম নয়।
পঞ্চায়েত প্রধান রানু বিশ্বাস রায় বলেন, “আমরা ১৯ জনের ১৯ জনই তৃণমূলের সদস্য। তারপরও আমাদের কোনও নিরাপত্তা নেই। গত কয়েকদিন ধরে যুব তৃণমূলের ব্যানার নিয়ে দুষ্কৃতী হামলা হচ্ছে। আমাদের দু’জনকে মেরেছে পর্যন্ত। মাথা ফেটে গিয়েছে। যারা করছে, ওরা যুবর ব্যানার নিয়ে ঝামেলা করছে। কিন্তু অন্য দল করে। আমরা ১২ জন সদস্য ইস্তফা দিয়েছি। পুলিশও আমাদের কথা শুনছে না। দু’জন মার খেল, তবু পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি।”
পঞ্চায়েত সদস্যদের উপর হামলার ঘটনায় যুবকর্মীদের যুক্ত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মদনাবতী অঞ্চল যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তাপস রায়। তিনি বলেন, “এটা পারিবারিক ব্যাপারে ঝামেলা। জামাই শ্বশুরের সম্পত্তি নিয়ে গন্ডগোল। এখানে আমাদের যুবকে জড়ানো হচ্ছে। কিন্তু আমরা একেবারেই জড়িত নই। মান্তু ঘোষ কোন দল করে আমি জানিও না।”
তৃণমূলের কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী বলেন, “নিজেদের মধ্যেই একটা গোলমাল হয়েছে। সেটা আমরা লক্ষ্য রাখছি। কেন ওরা ইস্তফা দিয়েছে তা আমাদের জানায়নি। যদি আমাদের জানায় নিশ্চয়ই দেখব। এ ধরনের কাজ কখনওই বাঞ্ছনীয় নয়। সবাইকে মিলেমিশে কাজ করতে হবে বলেই আমি মনে করি।” দক্ষিণ মালদহ সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ী বলেন, “কাটমানির ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে এই গন্ডগোল।”