মালদহ: বিধবা মহিলা, একাই থাকেন বাড়িতে। মেয়ের বিয়ে দিয়ে দিয়েছে। শ্বশুরবাড়িতে থাকেন তিনি। সেই বৃদ্ধার উপর জোর খাটিয়ে জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠল স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ওই পঞ্চায়েত প্রধান জমিটিকে খাস জমি বলে তা থেকে মাটি কেটে নিয়ে যান। সঙ্গে আরও তিন-চারজন থাকেন। বুধবার এই নিয়ে ঝামেলা চরমে উঠলে মানিকচক থানায় অভিযোগও দায়ের করেন। তবে এখনও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলেই দাবি ওই বৃদ্ধার। মানিকচকের এনায়েতপুরের ঘটনা। এদিকে সংবাদমাধ্যম এলাকায় ঢুকতেই অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধান এলাকাছাড়া হয়ে যান। এই নিয়ে অভিযুক্তের পরিবার বা স্থানীয় তৃণমূলের কেউ কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
বৃদ্ধা অসুস্থ। বাড়িতে একাই থাকেন। তাঁর অভিযোগ, স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান তাঁর জমির মাটি কেটে নিচ্ছেন। মাটি কাটার মেশিন দিয়ে রাতেরবেলা এই মাটি কাটা হচ্ছে। অভিযোগ, তা বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে মোটা লাভের বিনিময়ে। বৃদ্ধা প্রতিবাদ করলে গলা খ্যাকানি ছাড়া কিছুই জোটে না। আর সহ্য করতে না পেরে থানায় যান বৃদ্ধা সামজেদা বেওয়া।
সামজেদার অভিযোগ, ধরমপুর গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান রবিউল হক তাঁর জমি থেকে জোর করে মাটি কাটার যন্ত্র দিয়ে নিয়মিত মাটি কেটে পাচার করছেন। বাধা দিতে গেলে মারধর এমনকী খুনের হুমকি পর্যন্ত পান দেওয়া হয়। প্রধান সরাসরি মাটি মাফিয়াদের সঙ্গে যুক্ত। যেহেতু ক্ষমতাবান, তাই কেউ প্রতিবাদের সাহসও দেখান না। এমনকী থানায় অভিযোগ জানানোর পরও বৃদ্ধা হুমকির মুখে পড়ছেন বলে অভিযোগ।
খবর পেয়ে বাড়িতে এসেছেন মেয়ে, জামাই। সামজেদার জামাই জাইদুল বলেন, “এর আগে আমরা জমি মাপতে এসেছিলাম। প্রধান ও তাঁর লোকজন জমি মাপতে দেননি। বলছেন, এটা নাকি খাস জমি। আমরা দূরে থাকি। একা থাকেন শাশুড়িমা। আমাদের জমির সমস্ত কাগজ, দলিল আছে। তারপরও জোরজুলুম চলছে। মাটি কেটে বিক্রি করে দিচ্ছেন।” এই ঘটনায় অভিযুক্তের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বক্তব্য পেলেই তা এই প্রতিবেদনে যুক্ত করে দেওয়া হবে।