মালদহ: স্কুলে পানীয় জলের অভাব। শিক্ষকরা বলেন, বাড়ি থেকে জল নিয়ে আসতে। এমনই অভিযোগ তুলে স্কুলে বিক্ষোভ দেখালেন পড়ুয়ারা। শনিবার মালদহের মোথাবাড়ি নয়াবাজার হাইস্কুলে বিক্ষোভ দেখায় পড়ুয়ারা। তাদের দাবি, এই গরমে জলের অভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছে তারা। অথচ স্কুলের তিন তিনটে টিউবওয়েল খারাপ। স্কুল কর্তৃপক্ষ তা সারাচ্ছেও না। যদিও প্রধান শিক্ষক জানান, তিনি এদিনই প্রথম শুনলেন জলের কষ্ট।
এদিন ছাত্রদের একাংশ বলে, স্কুলে পানীয় জল নেই। তীব্র গরমে ফ্যানও চলে না ঠিকমতো। অথচ প্রধান শিক্ষক বা সহ প্রধান শিক্ষকের তাতে কোনও হেলদোলই নেই। এমনকী পড়ুয়াদের বাড়িতে গিয়ে টয়লেট করে আসতে হয় বলেও দাবি অভিভাবকদের কারও কারও। এই নিয়ে এদিন ক্লাস বয়কটের ডাক দেয় পড়ুয়ারা।
রিন্টু শেখ নামে এক অভিভাবকের কথায়, “দীর্ঘদিন ধরে এভাবে স্কুল চলছে। জলের কল ভেঙে দিয়েছে। এটা যদি কোনও স্যরের বাড়িতে ঘটত, উনি কি কলটা ঠিক করাতেন না? আমার তিন ছেলে এই স্কুলে পড়ে। রোজই বলছে, স্কুলে জল নেই। বাথরুম করতে বাড়ি পর্যন্ত চলে আসে ওরা। স্কুলে মিড-ডে মিলের খাবার দেয়। হিসাবমতো ডাল চালের খিচুড়ি দেওয়ার কথা। অথচ ডাল দেয় না। কোনও পড়ুয়াকে ওষুধ দিলে তার কোনও তারিখ থাকে না। স্কুলের জামা দেয়, এমন কাপড়ের, দু’দিনে নষ্ট হয়ে যায়। অন্য জামা পরে আসে। না হলে আমাদের বাইরে থেকে কিনে দিতে হয়।”
যদিও এ প্রসঙ্গে স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, “জলের সমস্যা আছে। কিন্তু মিস্ত্রি না পেলে তো কিছু করার নেই। আমি বলেছি, একটু সময় লাগবে। এমনও বলা হয়েছে, কারও যদি জানা মিস্ত্রি থাকে তাঁকেও ডেকে আনতে পারেন। আমি তো জানতামই না কল খারাপ। আজই জানলাম। টিউবওয়েল আমরা ব্যবহার করি না। ছাত্ররা ব্যবহার করে। ওরা যদি না জানায়, আমাদের পক্ষে জানাও সম্ভব নয়। ছাত্ররা কল, দরজা সব ভেঙে ফেলেছে। দু’বার ঠিক করেছি। তারপরও এক অবস্থা করে। এখনও দরজা ভেঙে পড়ে আছে।”