মালদহ: গত এপ্রিল মাসে মালদহের কালিয়াচক থানা এলাকায় এক ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। সেই বোমার আঘাতে জখম হয়েছিল পাঁচ শিশু। শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন (NCPCR) এ নিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে একটি চিঠিও দিয়েছিল। কিন্তু তার কোনও জবাব আসেনি বলে উল্লেখ করে বৃহস্পতিবার ফের চিঠি লিখল তারা। সেখানে বলা হয়েছে, ‘আপনাকে আরও একবার অনুরোধ করা হচ্ছে বিষয়টি দেখে অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট জমা দিতে। ১০ দিনের মধ্যে এই রিপোর্ট দিতে বলা হচ্ছে।’ এনসিপিসিআরের চেয়ারপার্সন প্রিয়াঙ্ক কানুনগো এই চিঠি লিখেছেন।
ঘটনাটি ঘটে গত ২৪ অগস্ট। কালিয়াচকে বোমা ফেটে জখম হয় পাঁচ শিশু। কালিয়াচক গোলাপগঞ্জ ফাঁড়ি এলাকায় একটি বাড়ির পিছনে বিকেলে বাচ্চারা খেলছিল। হঠাৎই বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা। গুরুতর আহত হয় তারা। স্থানীয় এক বাসিন্দা নিখিল সাহার বাড়ির পিছনে বিস্ফোরণ ঘটে। অভিযোগ ওঠে একাধিক বোমা সেখানে ছিল। যা ফেটে এই ঘটনা ঘটে। তল্লাশি চালাতে গিয়ে পুলিশ দেখে বিস্ফোরণস্থলের পাশের জমিতে একটি পরিত্যক্ত কুয়ো রয়েছে। তার মধ্যে দু’টো জার পড়ে। সেই জমির মালিকের খোঁজ পড়তেই জানা যায়, সেন্টু শেখ নামে এক ব্যক্তির এই জমি। তাঁর ভাইপো অঞ্চল যুব তৃণমূলের সভাপতি।
ঘটনায় রাজনীতির রং লাগতে শুরু করে। যদিও অঞ্চল যুব তৃণমূলের সভাপতি সেদিন দাবি করেন, এই অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই। শত্রুতা থেকে এসব বলা হচ্ছে। এই ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলাও দায়ের হয়। এনআইএ তদন্তের দাবি ওঠে। সেই ঘটনায় রাজ্যের মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজিকে চিঠি দেয় ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অব চাইল্ড রাইটস বা এনসিপিসিআর। এনপিসিআর প্রধান প্রিয়াঙ্ক কানুনগো সে সময়ই বলেছিলেন, “আমরা বাংলার ডিজিপির কাছে নোটিস দিয়ে জানিয়েছি যে জায়গায় বিস্ফোরণ হয়েছে, সেখানে তল্লাশি চালানো হোক। সেখানে কি বোমা তৈরি হয়? আমরা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিবকেও নোটিস দিয়ে জানিয়েছি শিশুদের চিকিৎসার বিষয়টি। আমরাও আছি।” ফের বৃহস্পতিবার একটি চিঠি পাঠানো হয় এনসিপিসিআরের তরফে।