TMC: ‘তৃণমূল করলেই সাত খুন মাফ ভাবার কারণ নেই’, দণ্ডি-কাণ্ডে মন্তব্য সাবিনা ইয়াসমিনের

Subhotosh Bhattacharya | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Apr 09, 2023 | 8:51 PM

Malda: রবিবার সন্ধ্যায় সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানায়, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তৃণমূল মহিলা সভাপতি হিসাবে স্নেহলতা হেমব্রমকে নিযুক্ত করা হল।

TMC: তৃণমূল করলেই সাত খুন মাফ ভাবার কারণ নেই, দণ্ডি-কাণ্ডে মন্তব্য সাবিনা ইয়াসমিনের
সাবিনা ইয়াসমিন।

Follow Us

মালদহ: দণ্ডি-বিতর্ক নিয়ে মুখ খুললেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী তথা দুই দিনাজপুরের পর্যবেক্ষক সাবিনা ইয়াসমিন (Sabina Yasmin)। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে তিন আদিবাসী মহিলা দণ্ডি কেটে জেলা তৃণমূল কার্যালয়ে এসে শাসকদলে যোগদান করেন। শুক্রবার রাতে এই ঘটনা ঘটে। এদিকে তার আগের দিনই এই তিনজন বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। অভিযোগ ওঠে, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ‘দণ্ড’ই প্রায় ১ কিলোমিটার ধূলোমাখা পথ দণ্ডি কেটে আসা। এ নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় তোলপাড় চলে রাজ্য রাজনীতিতে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তৃণমূল মহিলা সভাপতি পদ থেকে সরানো হয় প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে। সেই দণ্ডি-বিতর্কের তীব্র নিন্দা করলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার দলীয় পর্যবেক্ষক সাবিনা ইয়াসমিন। তিনি বলেন, তৃণমূল করলেই সাত খুন মাফ, এরকম হবে না। তিনি জানান, এ বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে যাবতীয় রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। শীর্ষ নেতৃত্ব এ নিয়ে কঠোর অবস্থানে। কারণ, যা ঘটেছে তা ভীষণ খারাপ, মেনে নেওয়া যায় না।

এদিন সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, “এই ধরনের কোনও ঘটনাকেই আমরা সমর্থন করি না। আমরা সবসময় দলীয়ভাবে কঠোর হাতে এগুলি দেখি। ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য কোনও রকম হিংসা, গোষ্ঠী আমরা মেনে নেব না। আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সব দেখছে। কেউ যদি অন্য়ায় করে, তৃণমূল করছে বলে তার সাত খুন মাফ হয়ে যাবে এরকম একেবারেই নয়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলছেন, ভাল লোককে নেতৃত্বে আনতে হবে, ভাল লোককে টিকিট দিতে হবে। ফলে কেউ অপরাধ করলে তার দায় দল নেবে না।”

রবিবার সন্ধ্যায় সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানায়, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তৃণমূল মহিলা সভাপতি হিসাবে স্নেহলতা হেমব্রমকে নিযুক্ত করা হল। যে পদে এতদিন ছিলেন প্রদীপ্তা। এই প্রদীপ্তাই ওই তিন আদিবাসী মহিলাকে সেদিন তৃণমূলের পতাকা তুলে দিয়েছিলেন। একইসঙ্গে দাবি করেছিলেন, বিজেপি জোর করে তাঁদের দলে নিয়ে যায়। প্রদীপ্তা চক্রবর্তীর বক্তব্য ছিল, “সেই মহিলারাই ভুল বুঝতে পেরে প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য বিবেক দংশনে বালুরঘাট কোর্ট মোড় থেকে দণ্ডি কাটতে কাটতে জেলা পার্টি অফিসে এসেছেন।” যা নিয়ে তোলপাড় হয়।

 

Next Article