মালদা: লাগাতার বেড়েছে করোনা। ফলত আংশিক লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে রাজ্যে। ইতিমধ্যে বন্ধ রয়েছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখা হয়েছে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে যাতে না পড়ে তার কারণে। কিন্তু সেই সকল নির্দেশিকা উড়িয়েই মালদায় দিব্যি খোলা সরকারি ও বেসরকারি স্কুল। ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য গোটা এলাকায়।
মালদার কালিয়াচকের মোজামপুর ও সাহাবাজ পুরে অধিকাংশ সরকারি মাদ্রাসা, হাই মাদ্রাসা ও বেসরকারি স্কুল খোলা। সকাল ১০ টা থেকে অর্থাৎ স্কুলের সময়ে দিব্যি খুলে যাচ্ছে বিদ্যালয়ের গেট। পড়ুয়ারাও আসছেন। এমনকী শিক্ষকরা ক্লাসও নিচ্ছেন। রোজ নিয়মিত ক্লাসেই হচ্ছে। ৬ টি করে পিরিয়ড হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। পঞ্চম থেকে দশম সব ক্লাসই খোলা। মূলত গায়ের জোরেই খোলা রয়েছে এইসব স্কুলগুলি। প্রশাসনের কর্তারা দব জেনেও দূঃসাহস দেখাননি এইসব স্কুল বন্ধ করার।
এক পড়ুয়াকে প্রশ্ন করা হলে সে জানায়, “আমাদের প্রতিদিনই ক্লাস হচ্ছে। রোজ ছয়টা করে ক্লাস হয়। আমরা মাস্ক পরেই আসছি স্কুলে। তবে পুরো ক্লাস হচ্ছে না। সকাল ১০টা থেকে শিক্ষকরা আমাদের ক্লাস নিচ্ছেন।”
কী বলছেন প্রশাসনিক আধিকারিক?
এক আধিকারীক জানালেন, “এই বিষয়ে আমরা কিছুই বলতে পারব না। ডিআই সাহেব এখনও আসেননি। ওনার তো করোনা হয়েছে। উনি এলে বিষয়টি বলতে পারবেন। গোটা ঘটনা তদন্ত করে দেখা হবে কেন এখনও পর্যন্ত ওই স্কুলগুলি খোলা রয়েছে।”
প্রসঙ্গত, এই ঘটনা একা মালদার নয়। এর আগে জলপাইগুড়িতে নির্দেশিকা উড়িয়ে গৃহশিক্ষককতা চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল এক গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত শিক্ষক ডাউকিমারি হাইস্কুলে পড়াতেন। কিন্তু সরকারি নিয়ম এবং কোভিড বিধিভঙ্গ করে বাড়িতে কোচিং সেন্টার চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। পাড়ার অন্য গৃহ শিক্ষকরা এই অভিযোগ করতে শুরু করায় এলাকায় শুরু হয় উত্তেজনা। এদিকে আবার তাঁদের শিক্ষককে অপমান করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে পথ অবরোধ করেন ছাত্রছাত্রীরা।