Malda Women harassment: মূক ও বধির যুবতীকে ধর্ষণ! মালদায় হাথরাস কাণ্ডের ছায়া

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Sep 26, 2021 | 12:26 PM

Malda: রাত ৮ নাগাদ অর্ধনগ্ন অবস্থায় বাড়িতে ফেরেন নির্যাতিতা।

Malda Women harassment: মূক ও বধির যুবতীকে ধর্ষণ! মালদায় হাথরাস কাণ্ডের ছায়া
বৃদ্ধাকে ধর্ষণ (প্রতীকী ছবি)

Follow Us

মালদা: প্রায় প্রত্যেকদিন সংবাদমাধ্যমে উঠে আসছে মহিলাদের উপর অত্যাচারের ঘটনা। কড়া আইন প্রণয়ন, সচেতনতা বাড়িয়েও ফল সেই শূন্য। আবারও শারীরিক নির্য়াতনের শিকার এক নারী। তবে এবারের ঘটনাস্থান এই রাজ্যের মালদা। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন এক যুবতীকে প্রথমে ধষর্ণ করে পরে খুনের অভিযোগ উঠল।

জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো গতকালও চাষের জমিতে কাজে গিয়েছিলেন ওই যুবতী। কিন্তু যেই সময়ে প্রতিদিন তিনি বাড়ি ফিরে আসেন, সেই সময়ে বাড়িতে ফেরেননি। যার কারণে চিন্তায় পড়ে পরিবার। সন্ধে হয়ে যাওয়ার পরও বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুজি শুরু করে তারা। তখনও কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।

এরপর, রাত ৮ নাগাদ অর্ধনগ্ন অবস্থায় বাড়িতে ফেরেন নির্যাতিতা। পরিবারের সদস্যদের সমস্ত ঘটনা খুলে জানান তিনি। মানিকচক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।

পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত যুবকের নাম মজিফুল শেখ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে ওই যুবতীকে ধর্ষণের পর তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। এমনকী অভিযোগ, প্রমাণ লোপাটের জন্য খুন করার চেষ্টাও করা হয় তাঁকে। কিন্তু ঘটনার সময় যুবতী অজ্ঞান হয়ে গেলে অভিযুক্ত মনে করে যে নির্যাতিতার মৃত্যু হয়েছে। সেই কারণে তাঁকে এলাকাতেই ফেলে রেখে পালায় মফিজুল। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়ে গিয়েছে। অভিযুক্ত পলাতক। তার খোঁজে তশ্লাশি শুরু হয়েছে।

উল্লেখ্য, কিছুই আগেই সামনে এসেছে মুম্বইয়ে নির্ভয়াকাণ্ডের ছায়া। গণেশ চতুর্থীর রাতে অটোর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হন এক যুবতি। পরে অপরাধী গোপনাঙ্গে রড় ঢুকিয়ে প্রত্যঙ্গ বের করে আনেন। ঘটনার পর পুলিশ নির্যাতিতাকে হাসপাতালে ভর্তি করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। মারা যান যুবতি। এখানেই শেষ নয়, গত ২৩ সেপ্টেম্বর ফের সেই রাজ্যে সামনে আসে নির্যাতনের ঘটনা। ১৫ বছরের নাবালিকাকে বারবার, একাধিকবার গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল ৩৩ জনের বিরুদ্ধে। টানা ৯ মাস ধরে ওই নাবালিকার সঙ্গে একাধিক ব্যক্তি মিলে গণধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনা রাতারাতি রীতিমতো নাড়িয়ে রেখে দিয়েছে গোটা মহারাষ্ট্রকে। নির্যাতিতা ইতিমধ্যেই ৩৩ জন অভিযুক্তের কথা উল্লেখ করেছে। যাদের মধ্যে ২৪ জনকে গ্রেফতার করতে পেরেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে দু’জন নাবালকও রয়েছে বলে খবর পুলিশ সূত্রে।

কিন্তু কেন প্রতিদিন বাড়ছে এই ধরনের ঘটনা?

অপরাধীর অপরাধের মনস্তত্ত্বের পর্যালোচনা করার পর সিংহভাগ ক্ষেত্রেই জানা গিয়েছে, ধর্ষণের মতো ঘটনায় নেপথ্যে থাকে ‘বিকৃত কাম’। সমাজকর্মী মীরাতুন নাহার যেমন মনে করেন, মিডিয়ায় বাণিজ্যিক স্বার্থে মেয়ে ও পুরুষ উভয়ের যৌনতাকে খারাপভাবে উপস্থাপনা করাই এই সামাজিক ব্যাধির জন্য অনেকাংশে দায়ী। সরকারকে মীরাতুন নাহারের পরামর্শ, “উদ্দীপনা, প্ররোচনা, উত্তেজক — মেয়ে পুরুষের সম্পর্ক যেন বিকৃত করে না দেখানো হয়, সরকারের উচিত সেবিষয়ে পদক্ষেপ করা। নতুবা মেয়েরা সম্ভোগের বস্তু হয়েই থেকে যাবে।”

আরও পড়ুন: Bhabanipur By-poll: মমতার পাড়ায় এবার পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধস্তিতে জড়ালেন সিপিএম প্রার্থীরা, আহত ১

Next Article