Balurghat: ‘কেউ পাগলের মতো করছেন, কারও আবার মাথা ঘুরছে’, অসুস্থ একাধিক পুলিশ কর্মী, কী হল হঠাৎ?
Balurghat: এদিকে বিষয়টি নজরে আসতেই বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। জরুরি বিভাগের রয়েছে খোদ হাসপাতাল সুপার কৃষ্ণেন্দু বিকাশ বাগ। এসেছেন জেলা স্বাস্থ্য দফতরের ঊর্ধ্বতন আধিকারিক। কী থেকে সকলে অসুস্থ হয়ে পড়ল তা খতিয়ে দেখছেন তারা।
বালুরঘাট: কেউ প্রয়োজনে হোটেলে খান। কেউ আবার নিতান্তই না খেলে নয় তাই খেয়েছিলেন। আর তাতেই বিপত্তি। হোটেলে খাবার খেয়ে অসুস্থ প্রায় কুড়ি থেকে পঁচিশ জন। যার মধ্যে প্রায় পনেরো জনকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়েছে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে। চিকিৎসার পর বালুরঘাট থেকে বেশ কয়েকজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন প্রায় দশ জন। যার মধ্যে বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মীও রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, অসুস্থ খোদ হোটেলের মালিকও।
এদিকে বিষয়টি নজরে আসতেই বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। জরুরি বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন খোদ হাসপাতাল সুপার কৃষ্ণেন্দু বিকাশ বাগ। পর্যবেক্ষণে গিয়েছেন জেলা স্বাস্থ্য দফতরের ঊর্ধ্বতন আধিকারিক। কোন খাবার খেয়ে সকলে অসুস্থ হয়ে পড়ল তা খতিয়ে দেখছেন তাঁরা।
জানা গিয়েছে, কুমারগঞ্জ থানার ঠিক পাশেই রয়েছে একটি হোটেল। সাধারণত ওই হোটেলেই থানার পুলিশ কর্মী থেকে থানায় আসা সাধারণ মানুষরা খাবার খেয়ে থাকেন। রোজকার মতো শুক্রবার দুপুরেও থানার কর্মী থেকে অন্যান্যরা খাবার খান। দুপুরে খাবার খেলেও বিকেলের পর থেকে সকলে অসুস্থ হতে থাকেন। অসুস্থদের পরিবারের লোকজনের দাবি, কারও প্রেসার ফল করছে, কেউ আবার পাগলের মতো করছে।
জানা গিয়েছে, হোটেলের খাবার খেয়ে এসে কুমারগঞ্জ থানায় ডিউটি টেবিলে কাজ করছিলেন বালুরঘাটের এএসআই শ্রীমন্ত কুমার রায়। হঠাৎ বিকেলে তিনি অসুস্থ বোধ করেন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে কুমারগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর একে একে ওই হোটেলে খাবার খাওয়া অন্যান্যরা পুলিশ কর্মী ও সাধারণ মানুষরা অসুস্থ হতে থাকেন। প্রত্যেককে কুমারগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পরও তারা সুস্থ না হওয়ায় তাঁদের বালুরঘাট জেলা হাসপাতাল ভর্তি করা হয়।
বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণেন্দু বিকাশ বাগ বলেন, “একটি হোটেলে খাবার খাওয়ার পরই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনেকেই। পুলিশ কর্মীও আছেন। কেন খাবার খেয়ে এই ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” অসুস্থ পুলিশ কর্মীর স্ত্রী অলকা সিংহ রায় বলেন, “আমি বাড়িতে ছিলাম। আমায় ফোন করে বলল শরীর খারাপ হয়েছে। শুনলাম হোটেলের খাবার হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। পরপর অনেক অফিসার ভর্তি হয়েছেন। কেউ পাগলের মতো করছেন, কারও মাথা ঘুরছে, প্রেসার ফল করছে।”