কলকাতা: বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ জোট কি হবে? লোকসভা ভোটের প্রার্থী ঘোষণার পর থেকেই কার্যত এই প্রশ্ন ঘুরে বেড়াচ্ছিল বঙ্গ রাজনীতির অলিগলিতে। এমনকী প্রার্থী তালিকা প্রকাশের ক্ষেত্রেও বামেদের কিছুটা গড়িমসি চোখে পড়েছিল। জানা যাচ্ছিল আইএসএফ-এর সঙ্গে আসন সমঝোতা হয়নি। সেই কারণে এবারের ভোটে জোট হয়নি। আদতে ঠিক কী হয়েছিল এতদিনে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী মহম্মদ সেলিম। বললেন, “আইএসএফ-এর তরফ থেকেই কোনও ফোন আসেনি।”
মঙ্গলবার যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্যের নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন সেলিম। সেখান থেকেই জোট নিয়ে সরব হতে দেখা যায় তাঁকে। মহম্মদ সেলিম বলেন, “বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান হিসাবে বিমানবাবু দু’মাস ধরে ফোন করছেন। আইএসএফ-এর তরফ থেকে কোনও বার্তা আসেনি।” শুধু তাই নয়, সেলিম নিজেও নাকি নওশাদকে মেসেজ করেছিলেন বলে জানান। বলেন, “আমি নওশাদ সিদ্দিকিকে হোয়াটস অ্যাপে ম্যাসেজ করছি। সব আসন নিয়ে সমঝোতা হয়ে যাবে। তোমরা কোন আসনে লড়বে জানাও,কথা বলো। ম্যাসেজের কোনও রিপ্লাই আসেনি। সব রেকর্ড আছে, এখানে এসে গুজব ছড়ালে হবে?”
তবে জোট নিয়ে নওশাদ আক্রমণ করলেও, বক্তব্যের মাঝে মাঝে তাঁদের সঙ্গে থাকার আহ্বানও কিন্তু দিয়েছেন সিপিএম প্রার্থী। সাময়িক বিচ্ছেদ হলেও আইনি লড়াইয়ে পাশে থাকার আশ্বাস সহ বেশ কিছু শব্দ ব্যবহার করেন সিপিআইএমের এই বর্ষীয়ান নেতা।
প্রসঙ্গত, জোট নিয়ে ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে বলতে শোনা যায়,”বাম-কংগ্রেস চায়নি বলেই জোট হয়নি।” তবে গতকাল মহম্মদ সেলিমের বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, “বিমান বসুর দোষ বলে যাঁরা ছড়িয়েছিলেন আজ সেলিমদার বক্তব্যের শোনার পর তাঁরা নিশ্চয়ই জানলেন বিমান বসুর দোষ নয়…।” তবে এই গোটা বিষয়টিতেই পাত্তা দিতে নারাজ তৃণমূল। ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা বলেন, “কে জোট করল আর করল না কিছুই এসে যায় না। তৃণমূল জিতছে।”