SSC Scam: মাধ্যমিক থেকে স্নাতক, তাক লাগানো রেজাল্ট ‘শিক্ষিকা’ অঙ্কিতার

TV9 Bangla Digital | Edited By: জয়দীপ দাস

May 20, 2022 | 9:59 PM

SSC Scam: স্কুল জীবনে কখনও দ্বিতীয় হয়নি তিনি। ২০০৬ সালে মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন প্রথম বিভাগে। পেয়েছিলেন স্টার মার্কস।

SSC Scam: মাধ্যমিক থেকে স্নাতক, তাক লাগানো রেজাল্ট শিক্ষিকা অঙ্কিতার
ছবি - ছোট থেকেই মেধাবী ছাত্রী হিসাবেই পরিচিতি অঙ্কিতার

Follow Us

কোচবিহার: এসএসসি কেলেঙ্কারিতে (SSC Scam) একের পর এক মন্ত্রীর নাম জড়ানোয় বিগত কয়েক দিন ধরেই লাগাতার চাপ বেড়েছে রাজ্য সরকারের উপর। সিবিআই(CBI) জেরার মুখে পড়েছেনে প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়(Former Education Minister Perth Chatterjee), শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী। স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্য়মে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক নিয়োগে প্রভাব খাটিয়ে নিজের মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ অভিযোগ উঠেছে পরেশ অধিকারীর বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই অঙ্কিতাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। দেওয়া হয়েছে বেতনের ফেরতের নির্দেশও। 

মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর বাড়ি কোচবিহারের মেখলিগঞ্জের পশ্চিম পাড়া এলাকায়। তাঁর বাড়ি থেকে ইন্দিরা গার্লস হাইস্কুলের দূরত্ব মাত্র ১ কিলোমিটার। সেখানেই একদিন কর্মরত ছিলেন তিনি। এই স্কুলেই পড়াশুনো মন্ত্রীর কন্যা অঙ্কিতার। এখন থেকেই মাধ্যমিক দিয়েছিলেন অঙ্কিতা। ছোট থেকেই মেধাবী ছাত্রী ছিলেন তিনি। স্কুল জীবনে কখনও দ্বিতীয় হয়নি তিনি। ২০০৬ সালে মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন প্রথম বিভাগে। পেয়েছিলেন স্টার মার্কস। উচ্চ মাধ্যমিকেও পেয়েছেন প্রথম বিভাগ। এরপর রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরেও নজরকাড়া রেজাল্ট করেন অঙ্কিতা। তারপর শেষ করেন বিএড। মেখলিগঞ্জের স্কুলে সহকারী শিক্ষিকা পদে যোগ দেওয়ার আগে বেশ কিছুদিন পড়িয়েছিলেন মেখলিগঞ্জের একটি বেসরকারি ডিএলএড-বিএড কলেজে। পরেশ অধিকারীর পারিবারিক শেয়ার আছে এই কলেজে। বর্তমানে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করছেন অঙ্কিতা। যা নিয়েই বর্তমানে গোটা রাজ্যে চলছে জোরদার বিতর্ক। 

এদিকে অঙ্কিতার নিয়োগের সময় এসএসসি-র তরফে যে মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল তা নিয়ে দানা বেঁধেছে বিতর্ক। অভিযোগ, প্রথম প্রকাশিত মেধা তালিকায় প্রথম কুড়ি জনের মধ্যে নাম ছিল না অঙ্কিতার। এদিকে ২০১৭ সালের নভেম্বর দ্বিতীয় তালিকা বেরোতেই সবাইকে টপকে একেবারে শীর্ষস্থানে উঠে যান অঙ্কিত। তারফলে আগের তালিকায় ২০ নম্বরে নাম থাকা ববিতা সরকার চলে আসেন ২১ নম্বরে। চাকরি থেকে বঞ্চিত হন তিনি। তিনিই প্রথম মামলার করেন এই নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে। যা বর্তমানে চরম ধর্ম সঙ্কটে ফেলেছে রাজ্য সরকারকে। 

Next Article