মুর্শিদাবাদ: রাতের অন্ধকারে অবৈধ ভাবে মহিষ পার করতে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু রাখালের। গভীর রাত্রে পুলিশের চোখ আড়াল করে চলছিল মহিষ পাচারের কারবার, সেই মহিষ পার করতে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু হয় রাখালের। দীর্ঘদিন থেকে রমরমিয়ে চলে এই গরু মহিষ পাচারের ব্যবসা, এমনটাই অভিযোগ মৃতের পরিবারের। পুলিশের চোখ আড়াল করে কীভাবে চলে এই অবৈধ গরু মহিষ পাচারের ব্যবসা? তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। সোমবার মুর্শিদাবাদের ডোমকল থানার কুপিলা এলাকায়। মৃতের নাম ওয়াজেদ আলি হালসানা। তার বাড়ি ডোমকল থানার কুপিলা দাসপাড়া এলাকায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে মহিষের ব্যবসা করে ওই এলাকারি লাল্টু ও কালটু দুই ভাই। অর্থের বিনিময়ে তাঁদের মহিষ কুপিলা ঘাট পার করতেন ওয়াজেদ আলি হালসানা। সোমবার রাতেও দুই ভাইয়ের ডাকে অবৈধ ভাবে সেই মহিষ পার করতে গিয়েছিলেন ওয়াজেদ। তার কিছুক্ষণ পরেই ওয়াজেদকে ঘাটের পাড়ে তুলে নিয়ে আসে ওই লালটু ও কালটু দুই ভাই। তারপরে পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে নিয়ে যায় ডোমকল সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ওই এলাকায়।
হাসপাতাল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় ডোমকল থানায়। মহিষ পারাপার করার সময় জলে ডুবে মৃত্যু? না খুন করা হয়েছে? সেটা নিয়ে সন্দেহর দানা বেঁধেছে মৃতের পরিবারের। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ডোমকল থানার পুলিশ। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ডোমকল থানার পুলিশ।