‘দুয়ারে’ গিয়ে কোথাও হাতাহাতি, কেউ পদপিষ্ট

Dec 16, 2020 | 2:57 PM

দু'ক্ষেত্রেই আয়োজকদের ভূমিকা ঘিরে প্রশ্ন উঠছে। এত বড় কর্মসূচি, এমন অব্যবস্থা কেন, প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার মানুষ।

দুয়ারে গিয়ে কোথাও হাতাহাতি, কেউ পদপিষ্ট
আহত মহিলা।

Follow Us

মুর্শিদাবাদ ও বীরভূম : ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির ঘিরে বুধবার বিশৃঙ্খলার খণ্ডচিত্র দুই জেলায়। কোথাও হাতাহাতি, কোথাও ভিড়ে পদপিষ্ট হয়ে আহত। মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জে শিবির শুরুর আগে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হয়ে আহত হন দুই মহিলা। অন্যদিকে বীরভূমের সাঁইথিয়ায় ভিড় ঘিরে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষ। দু’ক্ষেত্রেই আয়োজকদের ভূমিকা ঘিরে প্রশ্ন উঠছে। এত বড় কর্মসূচি, এমন অব্যবস্থা কেন, প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার মানুষ।

দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে থিক থিক করছে মানুষের ভিড়। মুর্শিদাবাদে।

মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ-২ ব্লকের সম্মতিনগর গ্রামপঞ্চায়েত। সেখানকার কালীতলা হাইস্কুলে দুয়ারে সরকারের শিবির খোলা হয়েছিল। স্থানীয়রা জানান, সরকারি পরিষেবা পেতে সকাল থেকেই লোকজন আসতে শুরু করেন। শিবির কেন্দ্রের গেট খোলার আগেই বিশাল জমায়েত হয়ে যায় সেখানে। বেলা বাড়তেই ভিড়ের সঙ্গে বাড়তে থাকে ঠেলাঠেলি, ধাক্কাধাক্কি। এরইমধ্যে গেট খোলা হলে কে আগে ভিতরে ঢুকবেন তা নিয়ে হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। একে অপরকে ঠেলে এগিয়ে যাওয়ার সময়ই ঘটে বিপত্তি।

বীরভূমে চলছে হাতাহাতি।

লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন ৭০ বছরের বেহুলা বেওয়া ও অঞ্জুম বিবি। স্থানীয় সূত্রে খবর, অত ভিড়ে নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি তাঁরা। মাটিতে পড়ে যান। এদিকে তাঁদের উপর দিয়ে লোকজন ঢুকতে শুরু করেন বলে অভিযোগ। ঘটনার পর আহত দু’জনকে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আরও বেশ কয়েকজন আহত হতে পারেন বলে আশঙ্কা।

আরও পড়ুন: ‘ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি ছেড়ে দেব, আমার মা উপপ্রধান, পুলিসও কিচ্ছু করবে না’

ঘটনায় রঘুনাথগঞ্জ-২ ব্লকের বিডিও বিশ্বজিৎ মজুমদার বলেন, ভিড়ের কারণেই এই পরিস্থিতি। দুয়ারে সরকারের আধিকারিকও ঘরে ঢুকতে যাওয়ার সময় আহত হয়েছেন। পরে বিধায়ক নিজে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ফের শান্তিপূর্ণভাবে কাজ শুরু হয়।

অন্যদিকে বীরভূমের সাঁইথিয়ায় ফুলুর পঞ্চায়েতের পাশে একটি হাইস্কুলে এদিন দুয়ারে সরকার শিবির খোলা হয়। প্রচুর মানুষের জমায়েত। এরই মধ্যে লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে দু’পক্ষ। পরিস্থিতি সামাল দিতে সাঁইথিয়া থানার পুলিস যায়। বীরভূমের জেলাশাসক বিজয় ভারতী জানান, “আমার কাছে এরকম কোনও খবর আসেনি। তবে আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।”

 

Next Article