Murshidabad Body Recovered: জামাটা বুকের ওপর দিয়ে অর্ধেক তোলা, দলা পাকানো মাংসপিণ্ড, পাট ক্ষেতের দৃশ্যে গা পাকিয়ে উঠল স্থানীয়দের

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

May 24, 2022 | 12:30 PM

Murshidabad Body Recovered: ব্যক্তির জামা-প্যান্টের পকেট থেকে কোনও নথি পাওয়া যায় কি না, সেটা দেখছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশ ওই ব্যক্তির পরিচয় জানার চেষ্টা করছে।

Murshidabad Body Recovered: জামাটা বুকের ওপর দিয়ে অর্ধেক তোলা, দলা পাকানো মাংসপিণ্ড, পাট ক্ষেতের দৃশ্যে গা পাকিয়ে উঠল স্থানীয়দের
মুর্শিদাবাদের দেহ উদ্ধার

Follow Us

মুর্শিদাবাদ: সকালে পাট ক্ষেতের ধার দিয়ে কাজে যাচ্ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। একটা অদ্ভুত গন্ধ নাকে এসেছিল। সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা পাট ক্ষেতের ভিতর কয়েক পা এগিয়ে যান। সেখানে মাছি ভন্ ভন্ করে ঘুরে বেরাচ্ছে। রীতিমতো শিউরে ওঠেন তাঁরা। একটা শরীর উল্টো হয়ে পড়ে রয়েছে। হাত-পায়ে অজস্র ক্ষত। আর মুণ্ডটা উধাও। তার বদলে কয়েক দলা মাংস পিণ্ড। মাছি ঘুরে বেড়াচ্ছে তার ওপর দিয়েই। সাত সকালে ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখে গা পাকিয়ে ওঠে গ্রামবাসীদের। মুর্শিদাবাদের নওদায় পাট ক্ষেতের ভিতর থেকে উদ্ধার হল এক যুবকের মুণ্ড কাটা দেহ। মৃতের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

নওদার ডাকাতিপোতার রাস্তার ধারে পাট ক্ষেত। রাস্তা থেকে উঁকি দিলে পাট ক্ষেতের ভিতরটা কিছুটা দেখা যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, মঙ্গলবার সকালে তাঁরা রাস্তার ধার দিয়ে যাওয়ার সময়ে একটা গন্ধ পেয়েছিলেন। তখন অত্যুৎসাহী বেশ কয়েক জন পাট ক্ষেতের মধ্যে উঁকি দেন। তখনই তাঁরা দেহটা পড়ে থাকতে দেখেছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, দেহটা উপুড় হয়ে পড়ে ছিল। পরনে প্যান্ট, নীল শার্ট। জামাটা অর্ধেক তোলা। প্রমাণ লোপাটে মুণ্ডটা সমান করে যেন কেটে নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রথমে খবর দেন নওদা থানায়। পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে।

ওই ব্যক্তির জামা-প্যান্টের পকেট থেকে কোনও নথি পাওয়া যায় কি না, সেটা দেখছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশ ওই ব্যক্তির পরিচয় জানার চেষ্টা করছে। খুন, সে ব্যাপারে নিশ্চিত পুলিশ। তবে খুনের মোটিভ ব্যক্তির পরিচয় জানার পরই জানা যাবে। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “আমাদের এলাকায় এই ধরনের তো কোনও ঘটনা আগে ঘটেনি। এই দৃশ্য চোখে দেখা যায় না। পুলিশ বিষয়টা দেখছে। পাড়ার বাচ্চা-বউরা তো ভয়েই থাকতে পারছে না।”

Next Article