রানিনগর: সাগরদিঘির উপনির্বাচনে (Sagardighi By-election) শাসককে হারিয়ে জয় পেয়েছে কংগ্রেস (Congress)। বিধায়ক হয়েছেন বাইরন বিশ্বাস। তবে তৃণমূল বার বার বুঝিয়ে দিয়েছে, একটি উপনির্বাচন থেকে সামগ্রিক মতামত কখনও বোঝা যায় না। জনসংযোগ যাত্রায় এসে এদিন রানিনগরের সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের (Abhishek Banerjee) মুখে আবারও উঠে এল সাগরদিঘির প্রসঙ্গ। মুর্শিদাবাদের মাটিতে দাড়িয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘কংগ্রেসের জয় অক্সিজেন যোগাচ্ছে বিজেপিকে। সাগরদিঘিতে কংগ্রেস জেতার পরই এনআরসি নিয়ে সক্রিয় হচ্ছে বিজেপি।’
একই সঙ্গে সাগরদিঘির উদাহরণ তুলে ধরে কংগ্রেস এবং বিজেপি একে অন্যের পরিপূরক , এমনও ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। যে চেনা অভিযোগে কংগ্রেস বিদ্ধ করে রাজের শাসক দলকে।
নব জোয়ার যাত্রার অষ্টম দিনে ইটাহারের মাটিতে দাঁড়িয়ে কংগ্রেসের নাম নিয়ে আক্রমণ করেছিলেন অভিষেক। মালদায় এসে সেই আক্রমণ আরও জোরালো হয়। মালদা থেকেই অধীর চৌধুরীর নাম নিয়ে আক্রমণ শানাতে শুরু করেন অভিষেক। মুর্শিদাবাদে এসে সেই আক্রমণ যে আরও ধার পাবে তা তো বলাই বাহুল্য। হলও তাই। বিজেপি নিয়ে অধীর ‘নীরব’, কার্যত সেই অভিযোগই তুললেন অভিষেক। বাদ গেল না বামেরাও।
রানিনগরের জনসভা থেকে অভিষেককে বলতে শোনা গেল, ‘অধীর চৌধুরীকে কোনওদিন দেখবেন না শুভেন্দু, সুকান্ত, দিলীপকে আক্রমণ করছে বা বিজেপিকে আক্রমণ করছে। বিমান, সেলিম, সুজনদেরও দেখবেন না বিজেপিকে আক্রমণ করছে । ওদের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু আমরা।’
সাগর দীঘির উপনির্বাচনে হার শাসক দলের কাছে একটা বড় ক্ষত রাজনৈতিক ভাবে। যদিও এই ভোটের ফলাফলকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলেই ব্যাখ্যা করছে শাসক তৃণমূল। রানিনগরের জন সভায় সাগরদিঘি নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্য রাখেন অভিষেক। বলেন, সাগরদিঘির কংগ্রেসের জয় উৎসাহিত করছে বিজেপিকে। বিজেপির এনআরসি নিয়ে সক্রিয়তা তৃণমূল কখনও বাস্তবায়িত হতে দেবে না বলেও সংখ্যালঘু অধ্যুষিত রানিনগরে বলেন অভিষেক।
উন্নয়নের জন্য বায়রন বিশ্বাসকে সাহায্য করবে তৃণমূল। রানিনগরের জনসভায় প্রকাশ্য সেই আশ্বাসও দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ‘আমরা বিজেপি নই যে না জিতলে উন্নয়ন করব না। আমরা চাই সাগরদিঘিতে উন্নয়ন হোক। বায়রন বিশ্বাস বিধান সভায় উন্নয়নের নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতেই পারেন।’