Adhir Chowdhury: রেণুকা! অধীর চৌধুরীর এই দিদি থাকেন অন্তরালেই…ভাইফোঁটায় সামনে এল অনন্য ছবি

Koushik Ghosh | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Nov 03, 2024 | 1:29 PM

Adhir Chowdhury: বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের ভোটা রেণুকা। তাঁর তিন ছেলে। মেজো ছেলে মৃত্যু হয়েছিল ২০১৯ সালের বহরমপুর কেন্দ্রের লোকসভা ভোটের দিনই। মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন তিনি।

Adhir Chowdhury: রেণুকা! অধীর চৌধুরীর এই দিদি থাকেন অন্তরালেই...ভাইফোঁটায় সামনে এল অনন্য ছবি
অধীর চৌধুরীকে ফোঁটা দিলেন রেণুকা
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

মুর্শিদাবাদ: সক্রিয় রাজনীতি কোনওদিনও করেননি। কিন্তু মনপ্রাণে সমর্থন করে গিয়েছেন অধীর চৌধুরীকে। তাই ছেলের মৃতদেহ ঘরে শায়িত রেখেও ভোট দিতে গিয়েছিলেন, যাতে অধীর চৌধুরীর পক্ষে একটি ভোটও কম না পড়ে। বহরমপুরের সেই প্রৌঢ়া রেণুকা মাড্ডিই অধীর চৌধুরীর ‘দিদি’! তাঁর কাছে প্রতিবার ফোঁটা নিতে যান অধীর চৌধুরী।

বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের ভোটা রেণুকা। তাঁর তিন ছেলে। মেজো ছেলে মৃত্যু হয়েছিল ২০১৯ সালের বহরমপুর কেন্দ্রের লোকসভা ভোটের দিনই। মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন তিনি। ভোটের দিনই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছিলেন। ঘরে শায়িত ছিল রেণুকার ছেলের নিথর শরীর। তবুও রেণুকা ছুটেছিলেন অধীর চৌধুরীকে ভোটে দিতে। একটা ভোটও যে জরুরি। সেকথা কানে পৌঁছেছিল অধীরের। তখন থেকে তাঁকে দিদি পাতিয়েছিলেন অধীর। এবার অধীর হেরে গিয়েছেন। তাই ভারাক্রান্ত রেণুকার মন।

গত বছর রেণুকার আরেক ছেলের মৃত্যু হয়। তাই সেবার আর ভাইফোঁটা হয়নি। এবার রেণুকার বাড়িতে আবারও গিয়েছেন অধীর। রেণুকা বলেন, “আমার এটাই সবথেকে বড় পাওনা। যখনই ডাকি, তখনই আসেন। দাদাকে আমি ব্লেজার দিয়েছি। দাদা আমাকে শাড়ি দিল। সন্তানকে হারিয়ে দাদাকে পেয়েছি।” অধীর বলেন, “এই বাড়িতে হাসিও আছে, বিষাদও আছে। দুটো সন্তান হারিয়েছেন। মায়ের বেদনা বুঝতে পারি। আমার এই বোন প্রতি বছর ডাকেন। যেখানেই থাকি না কেন, আমি এই দিনে আসার চেষ্টা করি। এই দিনটা আমার কাছে স্মরণীয়।”

Next Article