মুর্শিদাবাদ: রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু নিয়ে মন্তব্য-বিতর্ক। তৃণমূলেরই বিধায়ক, নেতাদের তরফ থেকেই এসেছে সমালোচনার ঝড়। তার মাঝেই ফিরহাদ হাকিমকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। ফিরহাদ হাকিমকে জিন্নার বংশধর বলে কটাক্ষ করেন অধীর চৌধুরী। তাঁর বক্তব্য, ‘জিন্না চলে গিয়েছেন, তাদের বংশধরকে রেখে গিয়েছেন।’
প্রসঙ্গত, শনিবারই রাজ্যের মন্ত্রীর মুখে শোনা গিয়েছিল, “বাংলায় তো আমরা কেবল ৩৩ শতাংশ। কিন্তু আমরা নিজেদের সংখ্যালঘু ভাবি না। আমরা একদিন সংখ্যালঘু থেকে সংখ্যাগুরু হতে পারি।” ফিরহাদ হাকিমের এই মন্তব্য ঘিরে শুরু হয় শোরগোল। ঘরে বাইরে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয় তাঁকে। দলেরই আইপিএস বিধায়ক হুমায়ুন কবীর ‘কোয়ালিটি’ তত্ত্ব খাড়া করেন। সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে অধীর চৌধুরীকে ফিরহাদের এই মন্তব্য প্রসঙ্গেই প্রশ্ন করা হয়। শুনেই ভীষণই বিরক্ত প্রকাশ করেন অধীর। বলেন, “তৃণমূলের সাম্প্রদায়িক বিভাজনের যে রাজনীতি, সেই রাজনীতির প্রবক্তার একজন হলেন হাকিম সাহেব।”
অধীরের গড়ে সাংগঠনিক ভিত মজবুত করতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ফিরহাদ হাকিমকে। মুর্শিদাবাদের পর্যবেক্ষক হিসাবে নিয়োগ করা হয় তাঁকে। সে প্রসঙ্গ উত্থাপন করে অধীর বলেন, “২০১৯ সালে তিনি আমার বিরুদ্ধে প্রচার করতে এসে বুঝিয়েছিলেন, মুসলমানদের এলাকায় গিয়ে, উস্কানি দিয়েছিলেন। এই হচ্ছে মানসিকতা! জিন্নার বংশধর। মহম্মদ আলি জিন্না নিজে পাকিস্তানে গিয়েছেন। তিনি প্রয়াত। তাঁর বংশধরদের ছেড়ে গিয়েছেন। জিন্নার বংশধরের উজ্জ্বলতম নক্ষত্রের নাম হাকিম সাহেব।” ফিরহাদের উদ্দেশেই অধীর বলেন, “দল থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বার করে দেওয়া উচিত।”
মুর্শিদাবাদের বিশেষ দায়িত্ব পাওয়ার পর সেখানকার মাটি কামড়ে পড়েছিলেন ববি। সেখানে সাংগঠনিক শক্তি মজবুত করতে, এমন কিছু মন্তব্য করেছিলেন, তা নিয়েও বিতর্ক ছড়ায়। সেখানে দাঁড়িয়ে আবারও ববির সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু তত্ত্ব খাড়া। এই পরিস্থিতি ঘরে বাইরে সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে ফিরহাক হাকিমকে।