বহরমপুর: ভোটের আগে কেন মুর্শিদাবাদে গিয়ে রাতে থাকছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? এই ইস্যুতে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। একদিকে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। অন্যদিকে, এই একই ইস্যুতে কমিশনকে চিঠি দিলেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। শনিবার মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র কে এই চিঠি দিয়েছেন তিনি।
চিঠিতে অধীর চৌধুরীর অভিযোগ, মুর্শিদাবাদ দখলের পরিকল্পনা করতেই সেখান থেকে গিয়েছেন তিনি।
অধীর চৌধুরী সেই চিঠিতে ২০১৮-র পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন। তিনি লিখেছেন, শাসকদল রিগিং করেছিল। পাশাপাশি তিনি ২০১৯-এর কথা উল্লেখ করে বলেছেন, বুথ এজেন্টদের স্থানীয় প্রশাসন হয়রানি করে এবং হুমকি দিয়ে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট লুটের অভিযোগও তুলেছেন তিনি। তাঁর দাবি পঞ্চায়েতের মডিউলেই ভোট হয়েছিল ২০১৯-এও। তাই অধীরের দাবি এবার সেরকমই কোনও পরিকলপনা করতে আসছেন মমতা। ২০২১-এও একই ভাবে ভোট হবে কি না, সেই প্রশ্নই তুলেছেন তিনি। তেমন কিছু যাতে না হয়, তার জন্য কড়া নজর দারির ব্যবস্থা করার আর্জি জানিয়েছেন অধীর।
এই প্রসঙ্গে, তৃণমূলের জেলা সভাপতি আবু তাহের খান বলেন, ‘জেলায় মুখ্যমন্ত্রী এখনও পর্যন্ত কোনও সভা করেননি, কোনও কর্মীর সঙ্গে দেখা করেননি। এমনকি আমরা দু’জন সাংসদ আছি, আমাদের সঙ্গেও তাঁর সাক্ষাৎ হয়নি।’ তিনি আরও বলেন, ‘তৃণমূল কি ভাবে প্রভাবিত করবে? অধীর চৌধুরী তো হোম কোয়ারেন্টাইনে তিনি কি ভাবে প্রভাবিত করছে জানলেন? এগুলো কাজ নেই তাই করছে।’
আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদে মমতার রাত্রিবাস, বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলে কমিশনে বিজেপি
এ দিকে এই ঘটনায় মমতার বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলেছে বিজেপিও। করোনা পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশন একাধিক বিধিনিষেধ জারি করলেও তৃণমূল নেত্রী তা পালন করেননি বলে এ দিন দাবি করেছে গেরুয়া শিবির। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তিনি নির্দিষ্ট সময়সীমার বাইরে গিয়ে শুধু প্রচারই করেননি। এমনকি, তিনি নাকি আধিকারিকদেরও প্রভাবিত করেছেন বলে দাবি বিজেপির।