মুর্শিদাবাদ: আরজি কর কাণ্ডে রাজ্যজুড়ে শোরগোল। জুনিয়র চিকিৎসকের নৃশংস পরিণতির পর আরজি করে দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। সিবিআই তাঁকে গ্রেফতারও করেছে। আরজি কর কাণ্ডের পর রাজ্যের একাধিক মেডিক্যাল কলেজে দাদাগিরি ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এবার টেন্ডার দুর্নীতির অভিযোগ মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে। টেন্ডার ছাড়াই দোকানঘর বরাত, পছন্দের ব্যক্তিকে কর্মী নিয়োগের বরাতের অভিযোগ উঠেছে এই হাসপাতালের বিরুদ্ধে।
বুধবার একটি ঠিকাদার সংস্থার পক্ষ থেকে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তোলা হয়েছে। এই বিষয়ে রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা জেলাশাসক ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ইমেল মারফত অভিযোগ জানানো হয়েছে। টেন্ডারের সময় অবৈধভাবে অন্য সংস্থাকে বরাত দিয়ে দেওয়া। রোগীকল্যাণ সমিতির অ্যাকাউন্টে টাকা না নিয়ে নগদে টাকা নেওয়া, টেন্ডার ছাড়াই দোকান দেওয়া-সহ বিভিন্ন অভিযোগ তোলা হয়েছে।
অভিযোগপত্রে এক ব্যক্তির নামোল্লেখ করে বলা হয়েছে, অবৈধভাবে ওই ব্যক্তিকে টেন্ডার পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগকারী বলেন, ৩-৪ লক্ষ টাকা করে নিয়ে কর্মী নিয়োগ করা হচ্ছে। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, এমারজেন্সির সামনে রেস্টিং শেড রয়েছে। রেস্টিং শেডের ভাড়া রোগীকল্যাণ সমিতির অ্যাকাউন্টে ঢোকার কথা। কিন্তু, গত ২ বছর ধরে তা হচ্ছে না। নগদে ওই শেডের ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ৪ মাস আগে হাসপাতাল চত্বরে একটি দোকানঘর টেন্ডার ছাড়াই এক ব্যক্তিকে দেন অধ্যক্ষ। সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের MSVP অনাদি রায়চৌধুরী বলেন, “বিনা টেন্ডারে কাউকে বরাত দেওয়া হয় না। এরকম কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি।”