মুর্শিদাবাদ: একজনের নামে সিম কার্ড। অথচ তিনি জানেনই না। সেই সিম কার্ড ব্যবহার করছেন অন্যজন। এমনই জালিয়াতি চক্র চলার অভিযোগ ওঠে প্রায়শই। এবার এমনই এক জালিয়াতির খোঁজ তদন্তে নবগ্রামে তদন্তকারীদের দল বলে দাবি এলাকার বাসিন্দাদের। স্থানীয়দের একাংশ বলছেন, যাঁরা এসেছিলেন তাঁদের পোশাক পুলিশের মতো নয়। কেউ কেউ বলছেন, তদন্তকারী কোনও সংস্থার লোক হতে পারে। তবে স্থানীয় থানায় এরকম কোনও তথ্য বা অভিযোগ যায়নি বলেই খবর।
রবিবার দুপুর ১২টা নাগাদ মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম থানার অন্তর্গত শিবপুরে একটি বাড়িতে তদন্তকারীরা যান বলে দাবি এলাকার বাসিন্দাদের। অভিযোগ, বাড়িতে সে সময় এক মহিলা ছিলেন। তাঁর ফোন দেখতে চায়। এরপর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখান থেকে তিনি সিম কার্ড কিনেছিলেন। শিবপুর মোড়ে অবস্থিত একটি মোবাইল ফোনের দোকানে যায় তারা।
লক্ষ্মী মার্ডি নামে ওই মহিলা বলেন, “মোবাইল দেখতে চাইল ওরা। সেখানে কিছু পায়নি। যেখানে সিম কিনেছিলাম, তারপর সেখানে নিয়ে গেল। আমার ছবি তথ্য দেখতে চাইল। এরপর আরও একটা দোকানে নিয়ে গেল। তবে সেই দোকান থেকে আমি কখনও কিছু কিনিনি।”
তদন্তকারীরা সিম কার্ডের দোকানে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু নথিপত্র উদ্ধার করে নিয়ে যায় বলে খবর। সিম কার্ডের জালিয়াতির একটা চক্র চলছে বলে অভিযোগ। শুধু এ জেলাই নয়, পার্শ্ববর্তী জেলা মালদহেরও যোগ আছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। লক্ষ্মীর স্বামী ঝালু মার্ডি বলেন, “সিম নিয়ে ঝামেলা হয়েছে কিছু একটা। আমার বউ ওখান থেকে সিম নেয়নি। এদিকে ওর নামে সিম তুলে কেউ ব্যবহার করছে। আমাদের বলল কোনও ভয় নেই।”
প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগেই মুর্শিদাবাদ ও হুগলি জেলাতে এসটিএফের তদন্তকারীরা তল্লাশি চালিয়েছিল। সে সময় বেশ কয়েকজন গ্রেফতার হন। ভুয়ো নথির মাধ্যমে সিম কার্ড জালিয়াতির অভিযোগ পেয়ে প্রথমে তদন্ত শুরু হয়। তবে পরে জানা যায়, এই সিম কার্ড ব্যবহার করে হোয়াটসঅ্যাপের ওটিপি জেনারেট করা হতো। যদিও এদিন কে বা কারা মার্ডি পরিবারে তদন্তের জন্য গিয়েছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়।