মুর্শিদাবাদ : ফের বিস্ফোরণ বাংলায়। এবার মুর্শিদাবাদ। মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে। বেলডাঙার মাঠপাড়ায় একটি বাড়ির পাশেই জোরালো শব্দে বিস্ফোরণ হয়। যে বাড়িটির পাশে বোমা পুঁতে রাখা হয়েছিল, সেই বাড়িটির ভিত আলগা হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, বিস্ফোরণের তীব্রতা কতটা বেশি ছিল। যদিও বোমা ফাটার ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর মেলেনি।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, সোমবার ভোরের দিকে হঠাৎই বিকট শব্দ বোমা ফাটে। বিস্ফোরণের তীব্রতায় কেঁপে ওঠে বাড়ি। ক্ষতিগ্রস্ত ওই বাড়িটির পাশের মাটির তলায় বোমা মজুত করা ছিল। সেই বোমা মজুত করার ফলেই এই বিস্ফোরণ বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য এর আগেও এই এলাকায় ২০২০ সালে এক রাজনৈতিক হিংসা হয়েছিল। সেই ঘটনার দুই বছর পর ফের এলাকায় বোমা ফাটায় কার্যত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। সেই সময় ওই রাজনৈতিক হিংসায় এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়েছিল। ওই ঘটনায় যাদের নাম জড়িয়েছিল, তাদের মধ্যেই এক ব্যক্তির বাড়ির পাশে সোমবার এই বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, ওই ব্যক্তির বাড়ির পাশেই বোমা মজুত করা হচ্ছিল।
এর পাশাপাশি আরও বেশ কিছু বিষয় নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন উঠতে শুরু করেছে। যে জায়গায় এই বোমা বিস্ফোরণটি ঘটেছে, সেখান থেকে মাত্র কয়েকশো মিটার দূরেই স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্প রয়েছে। তার পরেও কীভাবে এখানে বোমা মজুত করা হচ্ছিল পুলিশের চোখের আড়ালে? উল্লেখ্য, সাম্প্রতিককালে বগটুইয়ের ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশকর্মীদের আরও সতর্ক হতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারপর থেকেই জেলায় জেলায় বিভিন্ন জায়গা থেকে বোমা উদ্ধারের খবর প্রকাশ্যে এসেছে। কিন্তু এই জায়গায় পুলিশ ক্যাম্পের থেকে মাত্র কয়েকশো মিটার দূরেই মাটির তলায় বোমা মজুত করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। প্রশ্ন উঠছে, কেন এত কাছে পুলিশ ক্যাম্প থাকা সত্ত্বেও এই বোমা উদ্ধার করা সম্ভব হল না। বোমা ফাটার ঘটনায় ফের একবার প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে স্থানীয় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, “সাড়ে পাঁচটা পৌনে ছটা নাগাদ আমরা দুম করে একটা শব্দ পাই। এরপর আমরা পুলিশ ক্যাম্পে জানাই, সেখান থেকে কয়েকজন এসে বিষয়টি দেখেন। তারপর থানায় খবর দেওয়া হয়। বাড়ির দেওয়াল ফেটে গিয়েছে।”
আরও পড়ুন : NRS Hospital: দুই মাসের শিশুর হার্টে ৫ ঘণ্টা ধরে জটিল অস্ত্রোপচার, সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবায় নজির এনআরএসে