ডোমকল : তিনি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী। ফলে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতির দৈনন্দিন কাজের বিষয়ে তিনি জানেন। অনুব্রতর সম্পর্কে জানতে আগেও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন সিবিআই(CBI) আধিকারিকরা। এবার অনুব্রতর দেহরক্ষী সেহেগাল হোসেনের ডোমকলের বাড়িতে পৌঁছে গেলেন সিবিআই আধিকারিকরা। আজ সকাল আটটায় সিবিআইয়ের একটি দল তাঁর বাড়িতে আসেন। সেইসময় বাড়িতে ছিলেন না সেহেগাল। সিবিআই আধিকারিকদের আসার খবর পেয়ে বাড়িতে আসেন তিনি।
গরু পাচার মামলায় একাধিকবার তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে ডেকে পাঠিয়েছে সিবিআই। একবার নিজাম প্যালেসে গিয়ে সিবিআই আধিকারিকদের মুখোমুখি হয়েছেন অনুব্রত। শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে একাধিকবার তলব এড়িয়ে গিয়েছেন। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, অনুব্রতর সম্পতির হিসাব পেতে সবরকম পদক্ষেপ করা হচ্ছে। সেজন্য তাঁর দেহরক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন সিবিআই আধিকারিকরা। ইতিমধ্যে সেহেগালকে দু’বার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
সেহেগালের সম্পতিও খতিয়ে দেখতে চায় সিবিআই। অভিযোগ, সেহেগালের ডোমকলে দুটি বাড়ি এবং জলঙ্গীতে একটি বাড়ি রয়েছে। একজন দেহরক্ষীর এত সম্পতি হয় কী করে, তা খতিয়ে দেখতে চান সিবিআই আধিকারিকরা।
গরু পাচার মামলায় অনুব্রতকে সিবিআইয়ের তলবের মধ্যে গত ২৭ এপ্রিল দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল সেহেগালের পরিবারের একটি গাড়ি। ওই গাড়িতে সেহেগালের শিশুকন্যা ও কয়েকজন ছিলেন। দুর্ঘটনায় সেহেগালের শিশুকন্যা ও আরও একজনের মৃত্যু হয়। সেইসময় বিজেপি অভিযোগ তোলে, সেহেগালকে খুনের চক্রান্ত করা হয়েছে।
গরু পাচার মামলার পাশাপাশি ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায়ও অনুব্রত মণ্ডলকে একাধিকবার ডেকে পাঠিয়েছে সিবিআই। কিন্তু, শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়ে সিবিআই দফতরে যাননি তৃণমূলের জেলা সভাপতি। ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় গত রবিবার অনুব্রত ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা সুদীপ্ত ঘোষকে জিজ্ঞাসবাদ করে সিবিআই। সুদীপ্তকে প্রায় চার ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। আর আজ সেহেগালের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা। বাড়িতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাঁকে। জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই আধিকারিকরা কোন তথ্য পেতে চান, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।