মুর্শিদাবাদ: গরু পাচার কাণ্ডে সিআইডির হাতে গ্রেফতার হন এনামূল ঘনিষ্ঠ জেনারুল শেখ। মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। এরপর বুধবার তদন্তের স্বার্থে জরুর গ্রাম পঞ্চায়েতে সিআইডি হানা দেয়। বিভিন্ন ট্রেড লাইসেন্স সম্পর্কিত তথ্য খতিয়ে দেখেন তারা। পাশাপাশি যে সব গরুর খোয়াড়ের জন্য যে সকল লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল তার নথিও খতিয়ে দেখা হয়।
এই বিষয়ে প্রধানের প্রতিনিধি বলেন, ‘সিআডি এর আগেও এসেছিল। আজও এসেছে। বিভিন্ন বিষয়ে তাঁরা তদারকি করছে। কী কী ট্রেড লাইসেন্স পঞ্চায়েতের তরফে দেওয়া হয়েছিল তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
বস্তুত, আদালতে সিআইডির তরফে ধৃত জেনারুলের ১৪ দিনের সিআইডি হেফাজতের জন্য আবেদন জানানো হয়েছিল। তবে বিচারক ধৃতের ১২ দিনের সিআইডি হেফাজত মঞ্জুর করেছেন। সিআইডি সূত্রে খবর, ধৃত জেনারুল শেখের বিহার ও ঝাড়খণ্ড একাধিক সম্পত্তি রয়েছে। মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ থানা এলাকা থেকে এদিন সকালেই গরু পাচারে অভিযুক্ত জেনারুল শেখকে গ্রেফতার করেন সিআইডি গোয়েন্দারা। এরপর তাকে পেশ করা হয় জঙ্গিপুর আদালতে। জেনারুল শেখকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে সিআইডি তদন্তকারী আধিকারিকরা আরও তথ্য খোঁজার চেষ্টা করবেন।
গরু পাচার মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-এর পাশাপাশি তদন্ত চালাচ্ছে সিআইডিও। সম্প্রতি গরু পাচার কাণ্ডের তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। আপাতত তিনি রয়েছেন জেল হেফাজতে। এমন পরিস্থিতিতে গরু পাচার মামলার তদন্তে তৎপরতা বাড়িয়েছে সিআইডিও। জেনারুলকে হেফাজতে নিয়ে ঘটনার আরও শিকড় পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়ার চেষ্টা করছেন সিআইডি আধিকারিকরা।