মুর্শিদাবাদ: গরু পাচার কাণ্ডের তদন্তে নেমে আরও সক্রিয় হয়ে উঠেছে সিবিআই। পাশাপাশি তদন্ত চালাচ্ছে সিআইডিও। গরু পাচার কাণ্ডে অন্যতম মূল অভিযুক্ত এনামুল হকের ভাগ্নের রাইস মিলে এদিন হানা দিয়েছিলেন সিআইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ এলাকার ওই রাইস মিল থেকে দু’টি গাড়ি ছিল। সেই গাড়ি দুটির মধ্যে একটি ট্রেলার ট্রাক এবং অন্যটি একটি ছোট চার চাকার গাড়ি। ওই গাড়িদুটি বাজেয়াপ্ত করেছেন সিআইডি আধিকারিকরা। এর পাশাপাশি ওই রাইস মিল থেকে একাধিক কাগজপত্রও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে সিআইডি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, গরু পাচার কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত এনামুল হকের তিন ভাগ্নে রয়েছে। তবে তাঁদের মধ্যে এই রাইস মিলটি কোন ভাগ্নের নামে রয়েছে, সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়।
উল্লেখ্য, রঘুনাথগঞ্জ এলাকার ওই রাইস মিলটি ইতিমধ্যেই সিল করে দিয়েছেন সিআইডি গোয়েন্দারা। শুক্রবার সকালে সিআইডির একটি তদন্তকারী দল রঘুনাথগঞ্জ এলাকার ওই রাইস মিলে পৌঁছান। সেখানে দীর্ঘক্ষণ ছিলেন সিআইডি আধিকারিকরা। খতিয়ে দেখা হয় বেশ কিছু নথিপত্র। রাইস মিল থেকে বেরনোর সময়, বেশ কিছু নথি তাঁরা উদ্ধার করে নিয়ে যান। সেখানে নথিপত্র খতিয়ে দেখে বেশ কিছু নথি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। রাইস মিলের ভিতরে থাকা একটি অফিস ঘরও সিল করে দেন রাজ্যের গোয়েন্দারা। এর পাশাপাশি ওই রাইস মিলের বিভিন্ন গাড়ির চালক ও কর্মচারীদেরও বেশ কিছুক্ষণ ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিআইডি আধিকারিকরা।
প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলার তদন্তে আরও সক্রিয় হয়ে উঠেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রে খবর, বীরভূমের সুখবাজার এবং অন্যান্য গরু হাটগুলি থেকে মুর্শিদাবাদ হয়ে বাংলাদেশে পাচার হয়ে যেত গরু। আর এই গরু পাচারের কাণ্ডে অন্যতম মূল চক্রী ছিল এনামুল হক। এবার সেই গরু পাচারের তদন্তে সক্রিয়তা বাড়াচ্ছে সিআইডিও। এদিন এনামুল হকের ভাগ্নের মুর্শিদাবাদের রাইস মিলে হানা দেন সিআইডি গোয়েন্দারা। সেখান থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বেশ কিছু নথি। সিল করা হয়েছে রাইস মিলটিও।