মুর্শিদাবাদ: মুর্শিদাবাদে ডিওয়াইএফআই-এর (DYFI in Murshidabad) কর্মসূচি ঘিরে উত্তেজনা। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বেধে যায় বাম যুব কর্মী ও সমর্থকদের। সোমবার দুপুরে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে ডিওয়াইএফআই-এর কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিলে, পরিস্থিতি তপ্ত হয়ে উঠতে শুরু করে। এদিন বাম যুব কর্মীদের মিছিল বহরমপুরের টেক্সটাইল মোড়ের কাছাকাছি পৌঁছাতেই সেখানে পুলিশ বাধা দেয়। ব্যারিকেড দিয়ে পথ আটকে দেয় পুলিশ। সেই ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করেন বাম যুব কর্মীদের একাংশ। বেশ কয়েকজন ব্যারিকেডের উপরে উঠে পড়ার চেষ্টা করেন, ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন। আর তাতেই পরিস্থিতি তপ্ত হয়ে ওঠে। বাম যুব কর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় পুলিশের।
প্রসঙ্গত, আব্দুর রহমান নামে এক চাকরিপ্রার্থীর মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার এই মিছিলের ডাক দিয়েছিল বাম যুব সংগঠন। এর আগের দিন লালগোলায় ডিওয়াইএফআই-এর যে মিছিল, সেখানেও ধুন্ধুমার পরিস্তিতি তৈরি হয়েছিল। প্রায় ঘণ্টাখানেক রাস্তার উপর অবস্থান-বিক্ষোভে বসে থাকেন ডিওয়াইএফআই কর্মীরা। এরপর পুলিশের সঙ্গে আলোচনা করে পাঁচ জনের প্রতিনিধি দল গিয়ে জেলার এসপি অফিসে ডেপুটেশন দেওয়ার কথা হয়।
এই বিষয়ে সিপিএম নেতা শতরূপ ঘোষ বলেন, “এটা নতুন কিছু ঘটনা নয়। আমাদের রাজ্যে যে নিয়োগ দুর্নীতি হয়েছে, তা তো এখন তৃণমূল কংগ্রেসও অস্বীকার করে না। রাজ্য সরকারও অস্বীকার করতে পারেন না, তাঁদেরও স্বীকার করতে হয় দুর্নীতি হয়েছে। যাঁরা দুর্নীতি করেছেন, সে পার্থ-মানিক-অর্পিতা হোক, বা পাড়ায় পাড়ায় তৃণমূল নেতারা হোক, যাঁরা কি না নিয়োগের নাম করে টাকা তুলেছে। আজ পর্যন্ত পুলিশের একটি লাঠির আঁচড়ও সেই দুর্নীতিগ্রস্তদের গায়ে পড়েনি। যাঁরা দুর্নীতির শিকার তাঁদের কখনও মার খেতে হয়েছে, কখনও দুর্নীতির প্রতিবাদ করতে গিয়ে আমাদের মার খেতে হয়েছে। এতে আমরা অবাকও হচ্ছি না, ঘাবড়াচ্ছিও না। যাঁরা জেলে ঢুকেছে ঢুকেছে, বাকিদেরও ঢোকানোর কাজ করব।”