Humayun Kabir: সংখ্যালঘুদের ভোটে মুখ্যমন্ত্রী হয়ে খুব অহঙ্কার, চূর্ণ করব আমি: হুমায়ুন
Minority in West Bengal: হুমায়ুনের বাবরি মসজিদ তৈরির সিদ্ধান্ত ভালভাবে দেখেনি দল। সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতি নয়, এই বার্তা দিয়েই অনির্দিষ্টকালের জন্য দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে হুমায়ুনকে। তবে তাতে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন না হুমায়ুন। শনিবাই তিনি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করছেন মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায়।

মুর্শিদাবাদ: বাংলার রাজনীতিতে সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক বরাবরই আলাদা তাৎপর্য পেয়েছে। শাসক দলের বিরুদ্ধে উঠেছে তোষণের অভিযোগ। অনেক বিতর্কের মুখে দাঁড়িয়েও সংখ্যালঘুদের পাশে থাকার কথা বারবার বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইফতার কিংবা ইদের অনুষ্ঠানে নিয়ম করে যেতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তবে বেলডাঙায় বাবরি মসজিদ শিলান্যাসের ঠিক আগে আগে বড় অভিযোগ তুললেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। প্রশ্ন তুললেন, ১৫ বছরে সংখ্যালঘুরা কী পেয়েছে?
হুমায়ুন কবীরের দাবি, ২০১১ সালে অধিকাংশ সংখ্যালঘু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর আস্থা রেখেছিল, তাঁকে ক্ষমতায় এনেছিল। কিন্তু দিনের পর দিন মুখ্যমন্ত্রী মিথ্যাচার করেছেন বলেই দাবি বিধায়কের। হুমায়ুন বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী যা করবেন, সেটাই ঠিক। বাকিরা যা বলবে সেটা ভুল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এত অহঙ্কার।” তাঁর প্রশ্ন, মমতাকে মুখ্যমন্ত্রী করে কী পেয়েছে সংখ্যালঘুরা?
সদ্য তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড হয়েছেন হুমায়ুন। তারপরই রীতিমতো সুর চড়ালেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। বিধায়ক বলেন, “বাংলায় ৩৭ শতাংশ সংখ্যালঘু আছে। তাদের সিংহভাগের ভোট পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা। খুব অহঙ্কার হয়েছে। চূর্ণ করব আমি। আমি ওঁকে প্রাক্তন করবই।”
নিজের দল গড়ে রাজ্যের সংখ্যালঘু অধ্যুষিত ৯০টি আসনে প্রার্থী দেবেন বলেও এদিন জানিয়েছেন হুমায়ুন। তিনি বলেন, “মোট ১৩৫টি আসনে প্রার্থী দেব। বিধানসভায় যাব। প্রয়োজনে বিরোধী আসনে বসব। সরকারের কাছে সংখ্যালঘুদের উন্নয়নের দাবি জানাব। ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে অধিকার বুঝে নেব।” মুসলিমদের নায্য অধিকারের জন্য লড়াই তাঁর মূল উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছেন হুমায়ুন।
উল্লেখ্য, হুমায়ুনের বাবরি মসজিদ তৈরির সিদ্ধান্ত ভালভাবে দেখেনি দল। সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতি নয়, এই বার্তা দিয়েই অনির্দিষ্টকালের জন্য দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে হুমায়ুনকে। তবে তাতে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন না হুমায়ুন। শনিবাই তিনি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করছেন মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায়।
