মুর্শিদাবাদ: কয়েকদিন আগেই ফুল বদলে শাসক দলে যোগদান করেছিলেন শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ কয়েকজন বিজেপি নেতা। কলকাতায় গিয়ে মদন মিত্রের হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা তুলে নিয়েছিলেন তাঁরা। তবে এই নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। গোটা ঘটনা যথেষ্ঠ তোলপাড় ফেলে দেয় মুর্শিদাবাদে। এই রেশ কাটতে না কাটতে তৈরি নতুন বিতর্ক। টিকিট না পেয়ে এইসব প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন নির্দলে। তবে প্রচার করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যানারে। ফলে জলঘোলা তৈরি হয়েছে। আর গোটা ঘটনায় বিরোধীরা যথেষ্ঠ সরব হয়েছে।
মুর্শিদাবাদের কান্দি পুরসভার অন্তর্গত ৯ ওয়ার্ডে নির্দল প্রার্থী হয়েছেন গুরুপসাদ মুখার্জী। তিনি ভোটের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফ্লেক্স তৈরি করে তা নিয়ে বাড়ি-বাড়ি গিয়ে প্রচার সারছেন। এই বিষয়ে গুরুপসাদ মুখার্জী বলেন, “এই ওয়ার্ডে মানুষ পরিবর্তন চাইছে। তাই স্বতঃস্ফুর্ত সাড়া পাচ্ছি তাদের থেকে। কারণ এক সময় এই ওয়ার্ডে যিনি কাউন্সিলর ছিলেন তাঁর প্রচুর বদনাম। তিনি দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন। যে কারণে মানুষ আজকে আমাকে পেয়ে আনন্দিত হয়েছে। আমি নিশ্চিত আমি জয়লাভ করব।” এরপর সাফাই সুরে প্রার্থী জানালেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উন্নয়নের ব্র্যান্ড। তিনি শুধু তৃণমূলের সভানেত্রী নন। আমরা যেমন দলমত নির্বিশেষে গান্ধীজীর গলায় মালা দিই, তেমনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে বাংলার উন্নতি করেছেন সেই কারণেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমি ব্র্যান্ড হিসেবে ব্যবহার করতে চাই। এবং আগামী দিনেও মমতার ব্যানার্জীর আদর্শকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে চাই।”
এদিকে গোটা ঘটনায় ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী জানিয়েছেন এই বিষয়ে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার দল নেবে। আমি কিছু বলব না।
ইতিহাস কী বলছে?
২০২১ সাল। বিধানসভা নির্বাচন আসছে। ঠিক সেই সময় একই ভাবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের দলবলের হিড়িক বাড়তে থাকে। তখন যদিও ঘাসফুল ছেড়ে পদ্মে যোগদানের হিড়িক পড়ে যায়। সেই সময় শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করেন গৌতম রায়, গুরুপ্রসাদ মুখার্জীরা। এবার বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান গৌতম রায়। তারপর থেকেই কয়েক মাস তাঁকে বিজেপির কোনও কর্মসূচিতে আর দেখা যায়নি। জলঘোলা হয়েছিল ঠিক তখন থেকেই।
আর তারপর ভোট হয়েছে। ফের রাজ্যের শাসনভার গিয়েছে তৃণমূলের কাছে। নদী থেকে বয়ে গিয়েছে অনেক জল। এতদিন পর ফের কলকাতায় গিয়ে মদন মিত্রের হাত ধরে তৃণমূলে যোগদান করেন গৌতম বাবু ও গুরুপ্রসাদ মুখার্জী। দলবদলে ফের নিজের দলে ফিরে আসেন তাঁরা। কিন্তু এবার পুরভোটে গুরুপ্রসাদ মুখার্জী ভেবেছিলেন টিকিট পাবেন। তবে তা না হওয়ায় নির্দল থেকেই মনোনয়ন জমা দেন।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
মুর্শিদাবাদ: কয়েকদিন আগেই ফুল বদলে শাসক দলে যোগদান করেছিলেন শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ কয়েকজন বিজেপি নেতা। কলকাতায় গিয়ে মদন মিত্রের হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা তুলে নিয়েছিলেন তাঁরা। তবে এই নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। গোটা ঘটনা যথেষ্ঠ তোলপাড় ফেলে দেয় মুর্শিদাবাদে। এই রেশ কাটতে না কাটতে তৈরি নতুন বিতর্ক। টিকিট না পেয়ে এইসব প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন নির্দলে। তবে প্রচার করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যানারে। ফলে জলঘোলা তৈরি হয়েছে। আর গোটা ঘটনায় বিরোধীরা যথেষ্ঠ সরব হয়েছে।
মুর্শিদাবাদের কান্দি পুরসভার অন্তর্গত ৯ ওয়ার্ডে নির্দল প্রার্থী হয়েছেন গুরুপসাদ মুখার্জী। তিনি ভোটের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফ্লেক্স তৈরি করে তা নিয়ে বাড়ি-বাড়ি গিয়ে প্রচার সারছেন। এই বিষয়ে গুরুপসাদ মুখার্জী বলেন, “এই ওয়ার্ডে মানুষ পরিবর্তন চাইছে। তাই স্বতঃস্ফুর্ত সাড়া পাচ্ছি তাদের থেকে। কারণ এক সময় এই ওয়ার্ডে যিনি কাউন্সিলর ছিলেন তাঁর প্রচুর বদনাম। তিনি দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন। যে কারণে মানুষ আজকে আমাকে পেয়ে আনন্দিত হয়েছে। আমি নিশ্চিত আমি জয়লাভ করব।” এরপর সাফাই সুরে প্রার্থী জানালেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উন্নয়নের ব্র্যান্ড। তিনি শুধু তৃণমূলের সভানেত্রী নন। আমরা যেমন দলমত নির্বিশেষে গান্ধীজীর গলায় মালা দিই, তেমনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে বাংলার উন্নতি করেছেন সেই কারণেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমি ব্র্যান্ড হিসেবে ব্যবহার করতে চাই। এবং আগামী দিনেও মমতার ব্যানার্জীর আদর্শকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে চাই।”
এদিকে গোটা ঘটনায় ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী জানিয়েছেন এই বিষয়ে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার দল নেবে। আমি কিছু বলব না।
ইতিহাস কী বলছে?
২০২১ সাল। বিধানসভা নির্বাচন আসছে। ঠিক সেই সময় একই ভাবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের দলবলের হিড়িক বাড়তে থাকে। তখন যদিও ঘাসফুল ছেড়ে পদ্মে যোগদানের হিড়িক পড়ে যায়। সেই সময় শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করেন গৌতম রায়, গুরুপ্রসাদ মুখার্জীরা। এবার বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান গৌতম রায়। তারপর থেকেই কয়েক মাস তাঁকে বিজেপির কোনও কর্মসূচিতে আর দেখা যায়নি। জলঘোলা হয়েছিল ঠিক তখন থেকেই।
আর তারপর ভোট হয়েছে। ফের রাজ্যের শাসনভার গিয়েছে তৃণমূলের কাছে। নদী থেকে বয়ে গিয়েছে অনেক জল। এতদিন পর ফের কলকাতায় গিয়ে মদন মিত্রের হাত ধরে তৃণমূলে যোগদান করেন গৌতম বাবু ও গুরুপ্রসাদ মুখার্জী। দলবদলে ফের নিজের দলে ফিরে আসেন তাঁরা। কিন্তু এবার পুরভোটে গুরুপ্রসাদ মুখার্জী ভেবেছিলেন টিকিট পাবেন। তবে তা না হওয়ায় নির্দল থেকেই মনোনয়ন জমা দেন।