মুর্শিদাবাদ: গত সোমবার থেকে নিখোঁজ ছিল। এদিক-ওদিক খোঁজাখুঁজি করেও কোনও লাভ হয়নি। খোঁজ মেলেনি বছর চোদ্দোর মেয়েটার। পাড়া-প্রতিবেশী থেকে আত্মীয়-স্বজন, সকলের বাড়িতেই চলে খোঁজ। কিন্তু, কোনও লাভ হয়নি। পরিবারের অভিযোগ, থানাতে জানালেও শুধু দেখছি দেখছি করে দায় সেরেছিল পুলিশ। এরইমধ্যে শনিবার সকালে এলাকারই একটি মাঠ থেকে কিশোরীর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। তা ঘিরেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, খুন করা হয়েছে তাঁদের মেয়েকে। চাঞ্চল্যকর ঘটনা, মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানার রমনা এলাকায়।
খুনের অভিযোগ উঠেছে এলাকারই এক নাবালকের বিরুদ্ধে। তাঁকে ইতিমধ্যে আটক করেছে পুলিশ। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, এলাকার কিছু লোকজন এদিন সকালে মাঠের কাজে যাচ্ছিলেন। তখনই মৃতদেহটি দেখতে পান। খবর যায় পুলিশ। হরিহরপাড়া থানার পুলিশকে পুলিশ এসে কিশোরীর দেহ সনাক্ত করে। কিশোরীর পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছে, এলাকারই এক ছেলের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। ওই ছেলেই তাঁদের মেয়েকে ফুসলিয়ে বাড়ি ছাড়া করে। বিয়ের কথাও ওঠে। শেষে ছেলের বাড়ির লোকজনের মেয়েকে পছন্দ না হওয়ায় সে এই কাণ্ড করেছে। যদিও মেয়ের বাড়ির অভিযোগের সত্যতা যাচাই করার চেষ্টা করছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এলাকার লোকজনকেও।
কাঁদতে কাঁদতে নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীর মা বলছেন, ওর ডায়েরিতে ছেলেটির নাম ছিল। তিনটে নম্বরও ছিল। ২২ তারিখ রাত ৮ নাগাদ শেষ ফোন ওকেই করেছিল। তারপর থেকে ফোনটা সুইচড অফ। বিয়ে করবে বলে বেরিয়ে গিয়েছিল। পুলিশকে আমরা জানিয়েছিলাম। পুলিশ শুধু বলছে দেখছি দেখছি। আর কিছু করেনি। আমাদের তো মনে হচ্ছে খুন করে ফেলে দিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, এর আগেও ওই নাবালকের বিরুদ্ধে একাধিক মেয়েকে ফুসলিয়ে নিয়ে তাঁদের কাছ থেকে টাকা-পয়সা ছিনতাইয়ের অভিযোগ রয়েছে। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।