মুর্শিদাবাদ: কয়েকদিন আগে মুর্শিদাবাদের লালগোলার এক যুবক আত্মহত্যা করেন। ওই যুবকের কাছ থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করে পুলিশ। সেই নোট থেকে জানতে পারা যায় শিক্ষককের চাকরির জন্য মোটা টাকা দিয়েছেন তবুও মেলেনি চাকরি। তারপরই মানসিক অবসাদ থেকে এমন সিদ্ধান্ত নেন যুবক। রবিবার সেই পরিবারের সঙ্গেই দেখা করতে এলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
মুর্শিদাবাদের লালগোলা থানার অন্তর্গত সারপাখিয়া গ্রামের আবদুর রাজ্জাক। গতমাসে নিজের ঘর থেকে আবদুরের দেহ উদ্ধার করে লালগোলা থানার পুলিশ। সেই সময় পরিবার জানায় এসএসসি গ্রুপ-ডি পরীক্ষা দিয়েছিলেন আবদুর। পরিবারের দাবি, এক দালাল (মিডলম্যান) তাঁদের জানায়, পরীক্ষা না দিলেও প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরি পাওয়া যাবে। কিন্তু তার জন্য ৬ লক্ষ টাকা দিতে হবে। এরপরেই ওই দালালকে জানানো হয়, ৬ লক্ষ টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। এরপর কোনওমতে ২ লক্ষ টাকা জোগাড় করে দালালকে দেন আবদুর। কিন্তু, সময় পেরিয়ে গেলেও মেলেনি চাকরি। ক্রমশ মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করেন আবদুর। তারপরণই আত্মঘাতী হন তিনি। কিন্তু দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও ওই মিডল ম্যান এখনও অবধি গ্রেফতার হয়নি। এরপর আজ ওই পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন অধীর। শোকার্ত পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দেন তিনি। পাশাপশি মৃত যুবকের আত্মহত্যার পিছনে যাদের হাত রয়েছে তাদের কঠোর শাস্তির দাবিও জানান।
এ দিন কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘পুলিশ এখনো কোনও ব্যক্তিকে ধরতে পারেনি। তার জন্য আমরা থানায় ডেপুটেশন জমা দেব। প্রয়োজন হলে পুলিশ সুপারের সঙ্গেও দেখা করব। মৃত যুবকের পরিবার যতদূর যাবে আমরাও ঠিক ততদুরই তাঁদের সঙ্গে থাকব।’