মুর্শিদাবাদ: বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। কাজে যাচ্ছি বলেই বাড়ি থেকে বেরোন তিনি। তবে রাত অনেক হওয়ার পরও বাড়ি ফেরেননি তিনি। এরপর সন্দেহ হয় পরিবারের সদস্যদের। তারপরই মিলল পাটক্ষেতের মধ্যে সন্ধান।
বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদে। মৃতের নাম স্বাধীন মণ্ডল (৩২)। জানা গিয়েছে, হরিহরপাড়া পূর্বপাড়া এলাকার ঘটনা। সেখানেই বিকেল নাগাদ যুবক গিয়েছিলেন কাজে। পরে সন্ধ্যের পর খোঁজাখুঁজি করলে বাড়ির লোকজন তাকে পাটের জমিতে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তড়িঘড়ি উদ্ধার করে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার খবর পেয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে হরিহরপাড়া থানার পুলিশ।
এই বিষয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘মাঠে গিয়েছিলেন দুপুরে। জমি দেখতে গিয়েছিলেন। প্রতিদিনের মতোই দেখতে গিয়েছিলেন। এবার সন্ধ্যে হয়ে গেলেও বাড়ির ছেলে বাড়িতে ফিরে আসেনি। তারপর জানা গেল এই অবস্থা। কেউ বলছে বিষ খেয়েছে। কেউ বলছে আত্মহত্যা করেছে। তবে এখনও জানা যায়নি। ময়নাতদন্ত হলে তবেই জানা যাবে।’
প্রসঙ্গত, গত পরশু মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে পাপাই দাস নামে এক পড়ুয়ার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। জানা যায়,পাপাই এই বছরই উচ্চ-মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করেন। দিদার বাড়িতে থেকেই মানুষ তিনি। জানা গিয়েছে, উচ্চমাধ্যমিক ফলাফল পাওয়ার পর আর এক বন্ধুর সঙ্গে লটারির ব্যবসা শুরু করেন পাপাই।
সেই মোতাবেক সোমবার রাতে বন্ধুর সঙ্গে পরিকল্পনা করে মঙ্গলবারের জন্য লটারি কিনে রাখে পাপাই। তারপর বহরমপুর হোতাসাকো এলাকায় দিদার বাড়িতে ফিরে খাওয়া দাওয়া করে দোতালার ঘরে ঘুমাতে যান তিনি। সকালে তাঁর বন্ধু ডাকতে গিয়ে দেখেন দরজা বন্ধ রয়েছে। পরিবার সূত্রে খবর, সাধারণত একটু বেলায় ঘুম থেকে ওঠেন পাপাই। তাই তাঁর বন্ধু ও পরিবারের লোকেরা প্রথমে খুব একটা পাত্তা দেয়নি। বেলা বাড়তেই পরিজনেরা ক্রমাগত ডাকতে থাকেন। কিন্তু পাপাইয়ের কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। আজ বেলা ১২ টা নাগাদ দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকলে বন্ধুরা দেখেন, সিলিং ফ্যানে গামছা দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছেন পাপাই। তাঁর দেহ উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে, চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।