মুর্শিদাবাদ: মায়ের জন্য একটা ঘর। পাশের ঘরগুলিতে থাকেন ছেলেরা। প্রত্যেক রাতে মতো সোমবারও খাওয়া সেরে রাতে ঘুমোতে চলে গিয়েছিলেন বৃদ্ধা। প্রতিবেশীদের কথায়, আচমকাই ঘুমের মধ্যেই নাকে এসেছিল পোড়া গন্ধ। চোখ খুলেই দেখেছিলেন পাশের ঘরটাই দাউ দাউ করে জ্বলছে। ভিতর থেকে আর্তচিৎকার। বৃদ্ধা চেঁচিয়েছিলেন, বাইরে থেকে প্রতিবেশী-ছেলেরাও চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু যতক্ষণে বৃদ্ধাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে, ততক্ষণে শরীর জ্বলে গিয়েছে নব্বই শতাংশ। গোটা দেহ কুণ্ডলী পাকিয়ে পড়ে রয়েছে ধ্বংসস্তূপের পাশেই। বদ্ধ ঘরে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে বৃদ্ধার। মৃতার নাম লালবানু বেওয়া (৭০)। মঙ্গলবার সকালে ওই ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের ডোমকলের মাহিষ্যপাড়া এলাকায়। ঘটনার পর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো খাওয়া দাওয়া শেষ করে নিজের ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন ওই বৃদ্ধা। তারপরেই হঠাৎ রাতে ঘরে আগুন লাগে। কিন্তু বুঝতে পারেনি তিনি। বাড়ির পাশেই ছিলেন ছেলেরা। ধোঁয়া বের হতে দেখে তাঁরাও চেঁচামেচি শুরু করেন। বাড়ি থেকেই জল এনে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। খবর দেওয়া হয় দমকলকে। মুহূর্তের মধ্যেই দমকলের একটি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। ঘরের দরজা ভেঙে ওই বৃদ্ধাকে উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ডোমকল থানার পুলিশ। পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
তবে এই ঘটনাকে ঘিরে রহস্য তৈরি হয়েছে। কারণ দমকলকর্মীরা জানাচ্ছে, ওই ঘরের দরজায় বাইরে থেকে তালা বন্ধ ছিল। কেন ঘরের দরজায় বাইরে থেকে তালা, সেটা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। তবে কি আগুন লাগানো হয়েছিল, সেটা নিয়েই ধন্দ তৈরি হয়েছে।