বহরমপুর: ভুয়ো আধার ও ভোটার কার্ড তৈরি করে ভারতে বসবাস করছিল বাংলাদেশি। শুধু তাই নয়, এক ব্যক্তিকে নকল বাবা পরিচয় দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় ২০২২ সালে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল তাকে। দু’বছর পর অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে তিন বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল জেলা আদালতের অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় বিচারক অর্ঘ্য আাচার্য।
ওই ব্যক্তির নাম বাদল মণ্ডল(৪৫)। ওই বাংলাদেশিকে বিদেশি আইনে দু’বছরের জেল এবং দশ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের জেলের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। সেই সঙ্গ নথিপত্র জালিয়াতির অভিযোগে এক বছর জেল এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তিন মাস জেলের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। শাস্তির মেয়াদ শেষে হলে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়ার নির্দেশ বিচারকের।
জানা গিয়েছে, বাদল মণ্ডল বাস্তবে বাংলাদেশের কুষ্টিয়ার বাসিন্দা। সে জলঙ্গির ফরাজিপাড়ায় এসে রেক্সোনা খাতুন নামে একজন বিয়ে করে। দম্পতির এক ছেলে ও মেয়ে রয়েছে। ২০২২ সালে জানুয়ারি মাসে জলঙ্গি থানার পুলিশ বাংলাদেশি সন্দেহে তাকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্ত জলঙ্গির ফরাজিপাড়ার একজনকে বাবা পরিচয় দিয়ে আধার কার্ড-ভোটার কার্ড তৈরি করেছিল। কিন্তু মামলা চলাকালীন তদন্তে জানা যায় ওই ভোটার এবং আধার কার্ড ভুয়ো নথি দিয়ে তৈরি হয়েছিল। পরে ভোটার কার্ড বাতিল হয়। আইনজীবী নীলাব্জ দত্ত বলেন, “সরকারের অভিযোগ ছিল এক বাংলাদেশি নাগরিক ভারতে বসবাস করছে। তাকে জলঙ্গি থানার পুলিশ গ্রেফতার করে। অভিযুক্ত ব্যক্তি ভোটার-আধার কার্ড ভুয়ো নথি বানিয়েছিল।”