বহরমপুর : বহরমপুরে কলেজ ছাত্রী খুনে (Murshidabad Murder) প্রতিদিন নতুন তথ্য বেরিয়ে আসছে। সুতপা চৌধুরীর খবরাখবর কীভাবে পেত সুশান্ত চৌধুরী, তা ভাবাচ্ছিল তদন্তকারীদের। সেই নিয়ে সুশান্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়েই নতুন তথ্য বেরিয়ে এল। সুতপার এক বান্ধবী ছিল সুশান্তর ‘সোর্স’। সুতপা কখন-কোথায় যাচ্ছেন, সেই বান্ধবীই খবর দিত সুশান্তকে। ফলে সব খবরই পৌঁছে যেত সুশান্তর কাছে। আর সেই বান্ধবীর কাছ থেকেই সুশান্ত জানতে পেরেছিল, তাঁকে ছেড়ে অন্য প্রেমে জড়িয়েছেন সুতপা।
মালদার ইংরেজবাজারের বাসিন্দা সুতপা বহরমপুর গার্লস কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞানের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। থাকতেন বহরমপুরের গোরাবাজার এলাকার মেসে। সোমবার মেসের বাইরে তাঁকে আক্রমণ করে সুশান্ত। তারপর সেই হাড়হিম করা খুনের দৃশ্য। যা সিসিটিভি-তে ক্যামেরাবন্দি হয়েছে।
পুলিশকে ভাবাচ্ছিল, সুতপার বর্তমান খবরাখবর পেত কী করে সুশান্ত। কারণ, মালদার বাসিন্দা বছর তেইশের সুশান্ত গৌড় কলেজ থেকে স্নাতক পাশের পর বিহারের পটনায় কম্পিউটার নিয়ে স্নাতকোত্তরে ভর্তি হয়েছিল। তার পরও বহরমপুরে সুতপার সব খবর পৌঁছে যেত তার কাছে। জেরায় সুশান্ত জানিয়েছে, নতুন প্রেমে পড়েছিলেন সুতপা। বিয়েরও প্রস্তুতি চলছিল। যা মেনে নিতে পারেনি সে। তার জেরেই খুনের ছক কষে।
পুলিশকে সুশান্ত জানিয়েছে, সুতপার উপর হামলা চালানোর পর সে ৫০ ফুট দূরে একটা পাঁচ ফুট উঁচু পাঁচিল টপকে পালিয়েছিল। ওই পাঁচিলের উপর পেরেক পোঁতা রয়েছে। কিন্তু, কোথায় কোথায় জং ধরে পেরেক নষ্ট হয়ে গিয়েছে, সেগুলি সে দেখে রেখেছিল।
গতকাল তাকে দশদিনের হেফাজতের নেওয়ার পর থেকে নানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ। আজ দুপুরের পর ফরেনসিক টিম এসে পৌঁছায় ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং অন্যান্য যাবতীয় তথ্য পরীক্ষার জন্য। মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য তাকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজেও নিয়ে যাওয়া হয়।
আজ ঘণ্টাখানেকের বেশি সুশান্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন জেলা পুলিশ সুপার কে শবরী রাজকুমার। কেন সুতপাকে সে খুন করল, সেটাই জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। তা করতে গিয়েই উঠে আসছে একের পর এক তথ্য।