মুর্শিদাবাদ: সীমান্তে কড়া নজরদারি বিএসএফের। বাংলাদেশের পালা বদলের পর ভারত বাংলাদেশ বিভিন্ন সীমান্তে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সেই পরিস্থিতি মোকাবেলায় করা বিএসএফ। ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে মুর্শিদাবাদ জেলার জলঙ্গি ১৪৬ নম্বর বিওপি এলাকায় চলছে কড়া নজরদারি।
এই ১৪৬ সীমান্ত এলাকার অন্তর্ভুক্ত নদিয়ার করিমপুরের থেকে মুর্শিদাবাদের জলঙ্গি সাগরপাড়া এলাকা। কাঁটাতার না থাকায় এলাকায় চোরা চালানের সম্ভাবনা থাকে। সেই পরিস্থিতিতে কড়া হাতে মোকাবেলা বিএসএফের। ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে মুর্শিদাবাদ জেলায় ১২৫ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ, সুতি, রঘুনাথগঞ্জ, ভগবানগোলা, লালগোলা, রানিনগর, জলঙ্গি এই বিধানসভা এলাকাগুলো সীমান্তে এলাকা দীর্ঘ চল্লিশ কিলোমিটার এলাকায় নেই কাঁটাতার। সীমান্তের জলপথ থাকায় কিছুটা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। যে কোন পরিস্থিতিতে তৈরি বিএসএফ।
প্রসঙ্গত, দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টইয়ারের অন্তগর্ত ১৩৫টি জায়গা, উত্তরবঙ্গ ফ্রন্টইয়ার সীমান্তের অন্তর্গত ৭৫টি জায়গা, কোচবিহার সীমান্তের ৮-১০টি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলোকে ‘ব্ল্যাক স্পট’ হিসাবে দাবি করা হচ্ছে। বিএসএফের পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ড সূত্রের খবর, দুর্গম এলাকা, নদীর চোরাস্রোত-সহ একাধিক কারণে ওই অংশগুলো নজরদারির বাইরে থেকে যাচ্ছে। অতীতে গরু পাচারের জন্য ব্যবহার করা হত এই ব্ল্যাক স্পটগুলো। এখন সেই জায়গাগুলো অনুপ্রবেশকারীরা হাতিয়ার করছে। বিএসএফের পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ড সূত্রের খবর, এই জায়গাগুলোর একাংশতে ইতিমধ্যেই বাড়তি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। বিশেষ নজরদারির আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসএফ।