মুর্শিদাবাদ: হাইকোর্টের নির্দেশে কবর খুঁড়ে তোলা হচ্ছে কিশোরীর দেহ। কিশোরীর পরিবারের সদস্যের অভিযোগ তাঁদের মেয়েকে অপহরণ করে শারীরিক নির্যাতন করে চোখ তুলে নেওয়া হয়েছে। স্তন কেটে নেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের জন্য মৃত্যুর প্রায় ২০ দিন পর কবর থেকে তোলা হচ্ছে কিশোরীর দেহ। শুক্রবার মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ার এই ঘটনা শিউরে ওঠার মতো। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দেহ কবর থেকে তুলে কলকাতা SSKM হাসপাতালে ময়নাতদন্তে পাঠানো হবে।
প্রায় ৫ দিন নিখোঁজ ছিল হরিহরপাড়ার বছর তেরোর কিশোরীর। গত ২৭শে জানুয়ারি হরিহরপাড়ার একটি গ্রামের সরষে ক্ষেত থেকে উদ্ধার হয় ওই তেরো বছরের কিশোরীর দেহ। পরিবারের দাবি, চোখ উপড়ে নেওয়া হয়েছিল কিশোরীর, স্তন কেটে নেওয়া হয়েছে। কিশোরীর পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, অপহরণ করে শারীরিক নির্যাতনের পর তাঁকে খুন করে সরষে ক্ষেতে ফেলে যাওয়া হয়।
ঘটনায় ইতিমধ্যেই ২ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু তার আগেই দেহ কবর দিয়ে দেওয়া হয়। পরিবার সঠিক তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। হাইকোর্ট কবর থেকে দেহ তুলে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেয়। শুক্রবার হাইকোর্টের নির্দেশে কবর থেকে দেহ তোলা হয়েছে। ঘটনাকে ঘিরে যাতে কোনও রকমের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেজন্যে রয়েছে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়।