মুর্শিদাবাদ: টানা ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে কেরলে করছেন পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ। দীর্ঘদিন পর ফের দেখতে পাবেন কাছের মানুষদের। বছর ঘুরলেই ছিল বাড়ি ফেরার কথা। কিন্তু, বাড়ি ফিরছে তাঁর নিথর দেহ। আর মা-বাবার মুখ দেখা হল না সাগরপাড়ার সুব্রত হালদারের। কেরলে যে ঘরে তিনি থাকতেন সেখানে রহস্যজনকভাবে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হল। পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, আগামী জানুয়ারি মাসে বাড়ি ফেরার কথা ছিল। কিন্তু, গত সোমবার থেকে তাঁর সঙ্গে ফোনা আর যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। তাতেই উদ্বেগ বাড়ছিল পরিবারের সদস্যদের। মঙ্গলবারই কেরল পুলিশ ফোনে জানায় ঘর থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে।
কিন্তু, কীভাবে তাঁর মৃত্যু হল তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। খবর আসতেই শোকের ছায়া পরিবারে। সুব্রতর বয়স ৩৫। তাঁর বাড়ি সাগরপাড়া থানার নরসিংহপুর এলাকায়। পরিবারের অভিযোগ, খুন করা হয়েছে তাঁকে। সূত্রের খবর, কেরলে ধোপার কাজ করতেন তিনি। একটি দোকানও ভাড়া নিয়েছিলেন। শেষ ২০১৪ সালে বাড়ি এসেছিলেন। তারপর থেকে আর বাড়ি ফিরতে পারেননি কাজের কারণেই।
পরিবার সূত্রে আরও খবর, ঘরের জন্য সাড়ে তিন লক্ষ টাকা সেলামি দিয়েছিলেন মালিককে। সেই টাকা ফেরত নেওয়া নিয়ে ঘর মালিকের সঙ্গে সুব্রতর ঝামেলা হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করেছেন পরিবারের সদস্যরা। দোকান বিক্রি করে দেশে ফিরতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, তারমধ্যে এ ঘটনায় হতবাক সকলে। সুব্রতর বাড়িতে বাবা-মা ছাড়াও দুই দিদি রয়েছেন। সকলেই প্রিয়জনকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। যে বা যাঁরা মৃত্যুর জন্য দায়ী তাঁদের কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন সুব্রতর বাবা সূর্যকান্ত হালদার।