‘এত্ত অভিমান!’, নাতির ‘চরম’ সিদ্ধান্তে কেঁদে ভাসালেন দাদু

Suicide: পড়াশোনার বাইরে আয়ুসের বাকি সময়টা কাটত মোবাইল গেমেই। তা নিয়ে বারবার ক্ষোভ প্রকাশ করতেন আয়ুসের মা-বাবা।

'এত্ত অভিমান!', নাতির 'চরম' সিদ্ধান্তে কেঁদে ভাসালেন দাদু
হাহাকার দাদু গুরুদাস সাহার, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 14, 2021 | 4:17 PM

মুর্শিদাবাদ: বয়স মাত্র তেরো বছর। এই তেরো বছরেই ‘চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত’ নিতে দু’বার ভাবল না ক্লাস নাইনের আয়ুস। পরিণতি দেখে কেঁদে  ভাসালেন দাদু। মা-বাবার উপর অভিমানে গলায় ফাঁস দিয়ে ‘আত্মহত্যা’ (Suicide) করে আয়ুস। জানা গিয়েছে, মৃত জঙ্গিপুরেই একটি স্কুলে পড়াশোনা করত।

মৃত আয়ুসের পরিবার জানিয়েছে, সম্প্রতি, করোনাকালে স্কুল বন্ধ থাকায় অনলাইনেই চলছে পঠনপাঠন। ফলে বাধ্য হয়েই ছেলের হাতে মোবাইল দিয়েছিলেন সাহা দম্পতি। কিন্তু, পড়াশোনার বাইরে আয়ুসের বাকি সময়টা কাটত মোবাইল গেমেই। তা নিয়ে বারবার ক্ষোভ প্রকাশ করতেন আয়ুসের মা-বাবা। কিন্তু, পরিবারেরে একমাত্র সন্তান হওয়ায় কখনওই খুব বকাবকি করতেন না।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায়, ফের একবার অতিরিক্ত গেম খেলার জন্য আয়ুসকে বকাবকি করেন তার বাবা। মোবাইল ফোনটিও নিয়ে নেন। এরপর আয়ুস কোনও কথা না বলে নিজের ঘরে চলে যায়। সবাই ভাবছিলেন আয়ুস বোধহয় পড়াশোনা করছে। রাতে, তার দাদু গুরুদাস সাহা খাওয়ার জন্য ডাকাডাকি করতে ঘরে গেলে আয়ুসের ঝুলন্ত দেহ আবিষ্কার করেন। নিজের মায়েরই একটি শাড়ি গলায় ফাঁস দিয়ে সিলিঙ থেকে ঝুলে পড়ে (Suicide) আয়ুস। সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির সকলকে খবর দেন গুরুদাসবাবু। আয়ুসকে তড়িঘড়ি জঙ্গিপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।

মৃতের দাদু গুরুদাস সাহার কথায়, “বাড়ির একমাত্র ছেলে বলে খুব আদরের ছিল আয়ুস। ও হওয়ার আগে আরও একটি সন্তান হওয়ার কথা ছিল বৌমার। কিন্তু, নষ্ট হয়ে যায়। তাই আয়ুসই ছিল চোখের মণি। কখনোই খুব বকাঝকা করা হতো না। আমরা রোজ সন্ধ্যায় একসঙ্গে চা খেতাম। মঙ্গলবারও খেয়েছি। ওর মা-বাবাও ছিল। তখনও বুঝিনি যে মোবাইল নিয়ে নেওয়ার জন্য ওর এত্ত অভিমান হয়েছে।” আয়ুসের মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত করে দেখছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। আরও পড়ুন: স্ত্রী-হত্যার প্রমাণ লোপাটে বাড়ির বাগানই বেছে নিয়েছিলেন মহম্মদ, ‘কাল’ হল দুর্গন্ধ!