Death in Jail Custody: মারধরে ফুলে গিয়েছিল শরীর, জেল হেফাজতে থাকা বন্দির মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

May 08, 2023 | 11:32 PM

Death in Jail Custody: গত বৃহস্পতিবার রাতে মদ খাওয়ার পর হঠাৎ মজিবুর ওই ব্যক্তির বাড়িতে প্রবেশ করেন। অভিযোগ, তাঁকে টেনে হিঁচড়ে বের করে নিয়ে যান ভাসাইপাইকর শান্তি কমিটির কয়েকজন সদস্য।

Death in Jail Custody: মারধরে ফুলে গিয়েছিল শরীর, জেল হেফাজতে থাকা বন্দির মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য
বন্দির মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য

Follow Us

জঙ্গিপুর: জঙ্গিপুর জেলের মধ্যেই মৃত্যু জেল হেফাজতে থাকা সামসেরগঞ্জের এক বাসিন্দার। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জে। মৃত ওই ব্যক্তির নাম মুজিবুর রহমান(৪৩)। তাঁর বাড়ি সামসেরগঞ্জ থানার ভাসাইপাইকর এলাকায়। সামসেরগঞ্জের ভাসাইপাইকরে শান্তি কমিটির লোকজনের প্রবল মারধরের জন্যই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শান্তি কমিটির কর্মকর্তারা।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই মাদকাসক্ত হয়েছিলেন পেশায় রাজমিস্ত্রি মজিবুর রহমান নামে ওই ব্যক্তি। গত বৃহস্পতিবার রাতে মদ খাওয়ার পর হঠাৎ মজিবুর ওই ব্যক্তির বাড়িতে প্রবেশ করেন। অভিযোগ, তাঁকে টেনে হিঁচড়ে বের করে নিয়ে যান ভাসাইপাইকর শান্তি কমিটির কয়েকজন সদস্য।

মৃতের স্ত্রী জানিয়েছেন, রাতেই শান্তি কমিটির লোকজন ব্যাপক মারধর করে ওই ব্যক্তিকে। মারের চোটে শরীরের বিভিন্ন অংশ ফুলেও যায়। তারপর আবগারি দফতরের মাধ্যমে সামসেরগঞ্জ থানার হাতে তুলে দেওয়া হয় ওই ব্যক্তিকে। শুক্রবার থেকে জেলেই ছিলেন ওই ব্যক্তি।

পরিবারের সদস্যদের দাবি, রবিবার সন্ধ্যায় হঠাৎ তাঁদের ফোন করে জানান হয় যে মজিবুর রহমানের মৃত্যু হয়েছে। জেলের ভিতরে আসামীর মৃত্যু ঘিরে রীতিমতো শোরগোল সৃষ্টি হয়েছে। যদিও জেল সূত্রে খবর জঙ্গিপুর জেলে থাকাকালীন শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ায় ওই বন্দিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। রাস্তাতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে জেল কর্তৃপক্ষ।

এদিকে পুলিশ থাকতে সামসেরগঞ্জের ভাসাইপাইকর শান্তি কমিটির বাড়বাড়ন্ত কেন? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পরিবারের লোকজন। আত্মীয়দের প্রশ্ন, মদ খাওয়া অন্যায় হয়ে থাকলে সেটা পুলিশ ধরবে। কিন্তু শান্তি কমিটি কোন অধিকারে একজন ব্যক্তিকে এভাবে মারধর করতে পারেন? পুলিশ থাকতে কেন আইন নিজেদের হাতে তুলে নিচ্ছে শান্তি কমিটি? উঠছে প্রশ্ন। শান্তি কমিটির বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ারও অভিযোগ তুলেছেন পরিবারের সদস্যরা। যদিও নিজেদের সব অভিযোগ নিয়ে সাফাই দিয়েছেন ভাসাইপাইকর শান্তি কমিটির কর্তৃপক্ষ। মারধরের অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন শান্তি কমিটির অন্যতম কর্তা ডাক্তার মরজেম হোসেন। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে সামসেরগঞ্জ থানার পুলিশ।

Next Article