মুর্শিদাবাদ: মঙ্গলবার। কর্মব্যস্ত দিন। নিত্যদিনের মতোই ব্যস্ত যাত্রীরা। এদিকে, রাস্তায় বেরিয়ে আবার ট্রাফিকের জ্বালা। কিন্তু তারমধ্যেই ঘটল অদ্ভুত ঘটনা। ফোনে ব্যস্ত সিভিক ভলেন্টিয়ারকে বারবার জানিয়েও লাভ হয়নি। পরে একাধিকবার জানানোর পর ক্ষেপে যায় সংশ্লিষ্ট ওই ভলেন্টিয়ার।তখনই এক পথযাত্রীকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তার বিরুদ্ধে।
মুর্শিদাবাদের ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ঘটনা। সেখানে সিভিক ভলেন্টিয়ারের বিরুদ্ধে ‘দাদাগিরি’-র অভিযোগ উঠল। গোটা ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল ওই এলাকায়। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রেজিনগর থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। আহত ওই যুবকের চিকিৎসার জন্য তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে।
মঙ্গলবার কর্মব্যস্ত দিনে দাদুপুর এলাকায় বিশাল জ্যামজট ছিল। নিত্যযাত্রীরা অনেকক্ষণ ধরে আটকে ছিলেন জ্যামে। সেই সময় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে ছিল এক সিভিক ভলেন্টায়ার। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, সে অনেকক্ষণ ধরেই ফোনে ব্যস্ত ছিল। এবার অত্যধিক জ্যাম থাকার কারণে ওই সিভিক ভলেন্টিয়ারকে অভিযোগ জানায় এক যুবক।সিভিক পুলিশকে ফোনে ব্যস্ত থাকার ছবি তোলেন তিনি। এতেই রেগে যায় সে। যুবককে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। এরপরই স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। পরে রেজিনাগর থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহত যুবকের মা বলেন, ‘আমার ছেলেকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। সিভিক পুলিশ ফোনে কথা বলছিল আমার ছেলে ওকে বারবার বলে। তারপর সেই ছবি ফোনে রেকর্ড করছিল। তখন এসে মেরে ছেলের মাথা ফাটিয়ে দেয়।’ অন্যদিকে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘রাস্তা খুব জ্যাম ছিল। এদিকে সিভিক পুলিশ দাঁড়িয়ে তখন বিড়ি খাচ্ছিল। আর ফোনে ব্যস্ত ছিল। রাস্তার কী অবস্থা সেই দিকে কোনও নজর ছিল না তার। এবার ওই ছেলেটি বলার কারণে রাগ হয়ে যায় তাঁর। মারধর করতে থাকে। এমন মেরেছে যে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে তার।’